বিএনপির নেতাকর্মীর মারধরে যুবদল নেতার মৃত্যু
- বগুড়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৫৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলায় একটি স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির নেতা ও তার লোকজনের মারধরে আহত যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান (২৭) মারা গেছেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সোনাতলার পাকুল্লা বাজারে রাশেদের ওপর হামলা করেন তোকানী চুকাইনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার লোকজন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাশেদ মারা যান। রাশেদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাতে তার অনুসারীরা অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান বাটালুর বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
নিহত রাশেদ পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ও বিএনপির সাইবার ফোর্সের সোনাতলা উপজেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সোনাতলা পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুটি পক্ষ এবং জামায়াতের এক পক্ষে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুল হান্নান। বাকি দুটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন এবং বগুড়া শহর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মাজেদুর রহমান জুয়েল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা জুয়েল ও তার কর্মীরা ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্লা বাজারে মহড়া দেন। তাদের মোটরসাইকেল বহরে ছিলেন যুবদল নেতা রাশেদ। জুয়েল দলবল নিয়ে ফিরে যাওয়ার পর রাশেদ মোটরসাইকেল নিয়ে পাকুল্লা বাজারে যাওয়ার পথে তার ওপর হামলা করেন হান্নান ও তার লোকজন। রাশেদ মোটরসাইকেল ফেলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে ঢুকে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে এলাকাবাসী রাশেদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিলাদুন্নবি বলেন, ‘স্কুলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে সোনাতলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তার জেরে রাশেদ নামে ওই যুবদল নেতাকে মারধর করা হয়। রাশেদের মৃত্যুর খবরে শুক্রবার রাতে তার পক্ষের লোকজন বিএনপি নেতা হান্নান ও তার লোকজনের চার-পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এর আগেই হান্নান ও তার লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পাকুল্লা বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাশেদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’