‘টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’ বলা সেই এসআই বরখাস্ত
- চাঁদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০১:০৬ এম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

‘টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’ বলা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার সেই উপ–পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। তিনি বলেন, সাময়িকভাবে এসআই মাহফুজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দে কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১০ নভেম্বর বেশ কয়েকটি মিডিয়া ‘ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পর অভিযুক্ত মাহফুজুরকে প্রাথমিকভাবে হাজীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুর রকিব।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, একটি দোকানে সিভিলে মাহফুজুর রহমান একটি চেয়ারে খোশ মেজাজে বসে আছেন। তিনি বলছেন– ১০ হাজার টাকা কইছি। সামনে বসে থাকা এক ব্যক্তি বলছেন, ‘সবুরে মেওয়া ফলে।' এসআই তার দিকে মনোযোগ দিয়ে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, এক টাকাও কম হইতো 'ন'। সামনে বসে থাকা ব্যক্তি বলেন, ‘বস, একটু বসেন।’
একপর্যায়ে এসআই মাহফুজ এক ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে দ্বিতীয় ব্যক্তির দিকে হাত এগিয়ে দিলে দ্বিতীয় ব্যক্তি মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে মাহফুজের হাতে দেন। মাহফুজকে এক সময় বলতে শোনা যায়, 'টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত'।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের নামে থানায় অভিযোগ দিতে এসেছিলেন হাজীগঞ্জ থানার কংগাইশ গ্রামের এক বাসিন্দা। অভিযোগ দিতে এসে এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের প্রথম কিস্তি।
তারপর ছেলে বউ এবং ছেলে বাবার কাছে ক্ষমা চাইলে পরিবারিক সমস্যা মিটে যায়। তবুও এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের দ্বিতীয় কিস্তি। আর সেই কিস্তি নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’।
মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। তিনি বলেন, সাময়িকভাবে এসআই মাহফুজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দে কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ১০ নভেম্বর বেশ কয়েকটি মিডিয়া ‘ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর পর অভিযুক্ত মাহফুজুরকে প্রাথমিকভাবে হাজীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুর রকিব।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, একটি দোকানে সিভিলে মাহফুজুর রহমান একটি চেয়ারে খোশ মেজাজে বসে আছেন। তিনি বলছেন– ১০ হাজার টাকা কইছি। সামনে বসে থাকা এক ব্যক্তি বলছেন, ‘সবুরে মেওয়া ফলে।' এসআই তার দিকে মনোযোগ দিয়ে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, এক টাকাও কম হইতো 'ন'। সামনে বসে থাকা ব্যক্তি বলেন, ‘বস, একটু বসেন।’
একপর্যায়ে এসআই মাহফুজ এক ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে দ্বিতীয় ব্যক্তির দিকে হাত এগিয়ে দিলে দ্বিতীয় ব্যক্তি মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে মাহফুজের হাতে দেন। মাহফুজকে এক সময় বলতে শোনা যায়, 'টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত'।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের নামে থানায় অভিযোগ দিতে এসেছিলেন হাজীগঞ্জ থানার কংগাইশ গ্রামের এক বাসিন্দা। অভিযোগ দিতে এসে এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের প্রথম কিস্তি।
তারপর ছেলে বউ এবং ছেলে বাবার কাছে ক্ষমা চাইলে পরিবারিক সমস্যা মিটে যায়। তবুও এসআই মাহফুজকে দিতে হয় ঘুষের দ্বিতীয় কিস্তি। আর সেই কিস্তি নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘টাকা গুনে গুনে নেওয়া সুন্নত’।