
রাজধানীর জিগাতলা থেকে উদ্ধার হওয়া এনসিপি নেত্রী জান্নাতারা রুমী (৩০)-র মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমা বেগম লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন।
হাজারীবাগ থানার আরেক উপ-পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমীর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। তার বাবার নাম জাকির হোসেন। রুমী ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন এবং পরে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় কর্মরত ছিলেন বা বেকার ছিলেন, তা জানা যায়নি।
রুমীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান জানান, তিনি জিগাতলার ওই মেসে থাকতেন। তার দুটি বিয়ে হয়েছে, যেগুলি দুটোই শেষ হয়েছে। দুই সংসারে তার দুটি সন্তান রয়েছে, যারা বর্তমানে তাদের বাবার সঙ্গে থাকে।
তিনি আরও বলেন, "শুনেছি রুমীর রুমমেট বাড়িতে গিয়েছিল। বুধবার রাতে একাই ছিলেন রুমী। তবে একই ফ্ল্যাটে পাশের রুমে অন্য রুমমেটরা ছিলেন। রাতের দিকে কাজের বুয়া ৫ম তলায় তাদের ফ্ল্যাটের সামনে গেলে দরজা খোলা দেখেন এবং ভিতরে বাতি জ্বলতে লক্ষ্য করেন। এরপর ভিতরে তাকালে রুমীকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তিনিই সবাইকে ডেকে তুলেছেন।"
রুমী কেন আত্মহত্যা করতে পারেন, তা জানতে চাইলে স্বজনরা বলেন, "সাংসারিক বা পারিবারিক কারণে হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।" তবে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানান।