গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৬:২৬ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজ বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে, নানা প্রতিকূলতার মাঝেও এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে আয়োজিত স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদের ভাবনা-চিন্তাকে সম্মানের সঙ্গে দেখা।”
নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইউজিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ ও জাতি। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই এখন তোমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনে রেখো, এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের দ্বিতীয় পরিবার, আর এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা সেই পরিবারের সদস্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে ১ হাজার ১১৬ জন নবাগত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত একটি বই এবং রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। আগামীকাল রোববার বিভিন্ন অনুষদের ওরিয়েন্টেশন হবে এবং সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের দেশপ্রেমিক হতে হবে। প্রতি সেমিস্টারে ফলাফল ও উপস্থিতির তথ্য অভিভাবকের কাছে পাঠানো হবে, যাতে তারা জানতে পারেন তাদের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী করছে। তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের দক্ষ কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এলে সেটিও অভিভাবকের কাছে জানানো হবে।
উপাচার্য উল্লেখ করেন, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে বাকৃবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এখান থেকে ১৫০ থেকে ২০০ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যায়। উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগও এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে, তাই শিক্ষার্থীদের এসব সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।