
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক মাহফিলে জামায়াতে ইসলামীকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি অভিযোগ করেছেন, জামায়াতের আদর্শ ইসলামের মূল ভাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং একে কাদিয়ানিদের চেয়েও বড় ফেতনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ফটিকছড়ির আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসার ১০৩তম বার্ষিক মাহফিলের সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এই মাদরাসার মহাপরিচালকও।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ঈমান-আকিদা রক্ষায় বাংলাদেশ থেকে জামায়াতে ইসলামকে নির্মূলের চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশে এত বড় জাহেল থাকতে পারে না, যারা হজরত ওমর রা.সহ সাহাবায়ে কেরামদের নিয়ে কটূক্তি করে।”
জামায়াতকে কাদিয়ানিদের সঙ্গে তুলনা করে হেফাজতপ্রধান আরও বলেন, “কাদিয়ানিরা ঈমানের যত ক্ষতি করতে পারেনি, জামায়াতে ইসলামী তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াতে ইসলামী নাম দিয়েছে ইসলামি সংগঠন হিসেবে, কিন্তু তারা ঈমানের বড় ডাকাত। আমাদের আকাবিররাও বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর ইসলাম আর আমাদের ইসলাম এক নয়। আমাদের ইসলাম হচ্ছে মদিনার ইসলাম, আর তাদের ইসলাম মওদুদীবাদীর ইসলাম। যদি ঈমানকে হেফাজত করতে চাও, তাহলে জামায়াতে ইসলাম থেকে দূরে থাকো। যারা জামায়াতে ইসলামীতে আছে, তাদের ঈমান আছে কি না - তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।”
এর আগেও মাওলানা বাবুনগরী একাধিকবার জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করেছেন। সেই সময় দলটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
মাহফিলের অন্য বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও দাঈ শায়খ আহমদুল্লাহ, দেওবন্দের সায়্যিদ মওদুদ মাদানি, পাকিস্তানের আল্লামা আওরঙ্গজেব ফারুকী, চট্টগ্রামের মুফতি মাহমুদ হাসান, ঢাকার মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী প্রমুখ।