
একইসাথে পূজা ও রোজার মধ্যে তুলনা টেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন জামায়াতের সাবেক ছাত্রনেতা ও আইনজীবী শিশির মনির। তাঁর এই বক্তব্যকে ‘ইমানহীনতার প্রকাশ’ বলে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, শায়খুল হাদিস শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অনুষ্ঠিত এক ধর্মীয় সম্মেলনে শুক্রবার রাতে (৩ অক্টোবর) তিনি এ মন্তব্য করেন। হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত ‘শানে রেসালত সম্মেলন’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, “মওদুদী ফিতনা প্রতিহত না করলে দেশে ইসলাম থাকবে না। মওদুদীবাদীরা সাহাবাগণকে সত্যের মাপকাঠি মানে না। ইসলামের পর্দা প্রথাকে তারা অস্বীকার করে, জামায়াত নেতা শিশির মনির পূজা এবং রোজাকে এক আখ্যায়িত করে ইমানহারা হয়েছেন।”
সম্প্রতি একটি পূজামণ্ডপে গিয়ে শিশির মনির বলেন, “রোজা ও পূজা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ” -এ মন্তব্যের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন হেফাজতের এই শীর্ষ নেতা।
তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন এবং দলটিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর ভাষায়, “কুফরি যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না। যারা পূজা আর রোজা একই বলে, এগুলো কী ইসলাম। নবী ও রাসুলদের দেখানো সোজা রাস্তায় চলতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও আখিরাত ঠিক থাকবে। সাহাবা কেরাম সত্যের মাপকাঠি। তাদের দেখানো রাস্তা সোজা রাস্তা।”
হাটহাজারী উপজেলা শাখার হেফাজতে ইসলামের আয়োজিত এই সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতারা।
বিশেষ অতিথির আসনে ছিলেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল হাদিস উবাইদুল্লাহ ফারুক এবং হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস মুফতি জসিম উদ্দিন।
প্রধান আলোচক হিসেবে অংশ নেন করাচির জামিয়া মাহমুদিয়ার প্রিন্সিপাল ও সাবেক সংসদ সদস্য শায়খুল হাদিস মুফতি নূরুল হক।
সম্মেলনে যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন হেফাজতের হাটহাজারী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মোরশেদ আলম এবং মাওলানা হাসান মুরাদ।
মঞ্চে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা শোয়াইব জমিরী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ, মুফতি মাহমুদ হাসান, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা মীর কাসেম, মাওলানা উসমান ফয়জী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মাহমুদ হাসান ফতেপুরী, মাওলানা শফি, মাওলানা শামসুদ্দোহা চৌধুরী, মাওলানা আহমদ দীদার কাসেমী, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাহপুরী, মাওলানা উসমান সাঈদী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি কুতুব উদ্দিন, ড. নূরুল আবসার আযহারী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দীন, মুফতি মাহমুদ হাসান গুনবী, মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মীর ইদরিস নদভী, মুফতি আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ নোমানী, মাওলানা ইবরাহীম, মাওলানা ইদরিস, আহসান উল্লাহ, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা শোয়াইব বিন ইয়াহইয়া, মুফতি রাশেদুল ইসলাম, মাওলানা আনিসুর রহমান।