
সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। তিনি জানান, এ আইনের ১৮টি খসড়া সংস্করণ ইতিমধ্যে তিনি হাতে পেয়েছেন এবং তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করেছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ তথ্য দেন। ‘গণমাধ্যমে স্ব-নিয়ন্ত্রণ এবং অভিযোগ: রাজনৈতিক ও নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
সংলাপে তথ্য উপদেষ্টা জানান, সংস্কারের অংশ হিসেবে তিনি বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারকে একীভূত করে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের প্রস্তাব করেছিলেন। তবে কর্মী সমন্বয় ও স্টেকহোল্ডারদের চাপের কারণে বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছে।
মাহফুজ আলম বলেন, বিজ্ঞাপন খাতে আয় বৃদ্ধি মূলত মিডিয়া মালিকদের উপকারে আসছে, কিন্তু সাংবাদিকরা প্রকৃতপক্ষে কী সুবিধা পাচ্ছেন, সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ। “সাংবাদিকরা আসলে কী পাচ্ছেন? মালিকদের কাছে এর কোনো উত্তর নেই,” তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, তার দায়িত্বকালে কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হয়নি। তবে ৭২ থেকে ৭৫ জন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন। এই সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, জি-৯ এর সাধারণ সম্পাদক ড. শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত, জামায়াতের সহকারী মহাসচিব অ্যাডভোকেট আহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতনসহ অনেকে।