.png)
ঢাকার শহিদ আদিল হত্যার ঘটনায় অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন নিহত ছাত্র আদিলের বাবা। মামলার মাধ্যমে ৩১ জন আওয়ামীপন্থি সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটি গত সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০খ, ১৪৩, ২০৩, ৪৩১, ৪৪০, ৫০০, ৫০১, ৫০২, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৫(ক) ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় নাম উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’-এর সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, একুশে টিভির সাবেক সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক নেতা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, দীপ আজাদ (নাগরিক টিভি), জায়েদুল আহসান পিন্টু (ডিবিসি নিউজ), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন) প্রমুখ। মোট ৩১ জন সাংবাদিক এই মামলার আসামি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ বহুবার প্রতিবাদ ও আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই, শহিদ আদিল ও অন্যান্য ছাত্র-জনতার আন্দোলন পুলিশের গুলিতে দমন করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু মিডিয়া এবং সাংবাদিকরা তাদের সংবাদ ও বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারকে সমর্থন প্রদান করে, যা গণঅভ্যুত্থান দমন ও স্বৈরাচারী শাসন দীর্ঘায়িত করার কাজে সাহায্য করেছে।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৪ ও ২৭ জুলাই আসামিরা অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক ও সমাবেশের আয়োজন করেন, যেখানে তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে আক্রমণকে উদ্দীপ্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, শহীদ মোহাম্মদ আদিল ছিলেন ১০ম শ্রেণির ছাত্র। গত বছরের ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।