
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব শরীফ ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। তার এই আকস্মিক প্রয়াণে সারা দেশে শোক ও ক্ষোভের ঢেউ দেখা দিয়েছে। সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমে বিবৃতি গভীর শোক প্রকাশ কোড়ে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণ মহান আল্লাহর কাছে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছে এবং একই সঙ্গে তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করছে।”
ড. শফিকুর রহমান আরও জানান, “শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের পর দেশের ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ন্যায্য এবং বোধগম্য। কিন্তু এই ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আশঙ্কা করছি, এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হতে পারে।”
তিনি গণমাধ্যমের গুরুত্বও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং জনগণের কণ্ঠস্বর প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতান্ত্রিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের ওপর আঘাত। যে কোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়, নইলে মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যর্থ হতে পারে।”
জামায়াত আমির শহীদ ওসমান হাদির হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, “দেশের এই সংকটময় সময়ে সংযম, দায়িত্বশীলতা ও জাতীয় ঐক্যই সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব। আমরা সকল দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিককে ধৈর্য, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”