
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শুরু হলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শেষ হয়নি। ভোট গণনায় দীর্ঘ সময় লাগায় ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল এটি বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’-এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। তার দাবি, ফল প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন বিএনপিপন্থী কয়েকজন শিক্ষক।
মাজহারুল বলেন, অযৌক্তিকভাবে ওএমআর বাতিল করা হয়েছে। আমরা এখনও তার গ্লানি ভুগছি। ভোট গণনা করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মাত্র হল সংসদের ভোট গণনা শেষ, এখনও আরও অনেক ভোট গণনা বাকি। আমাদের মনে হয়, আজকের মধ্যে ভোট গণনা শেষ হবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসনের একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে স্থগিত করতে চাচ্ছে। ছাত্রদলের অজুহাতে ওএমআর বাতিল করা হয়েছে, একইভাবে তারা পুরো নির্বাচনের ফলও বানচাল করতে চাচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপিপন্থী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। নজরুল স্যার মেয়েদের একটি হলের প্রভোস্ট হয়েও অন্য হলে ঢুকে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন।
মাজহারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি সতর্ক করে বলেন, আজকের মধ্যে ভোট গণনা শেষ এবং ফল ঘোষণা না হলে আমরা কঠোর অবস্থান নেব। কোনো প্রকার নির্বাচনী বানচালকে সফল হতে দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক, বলেন, শিবিরের জিএস প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা তিনজন শিক্ষক গতকাল বিকেলে ভোট বর্জন করে বাসায় চলে গেছি। বাসা থেকে বের হইনি। এখান থেকে কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, শিবিরের জিএস প্রার্থীর বক্তব্যেই আমরা ষড়যন্ত্র খুঁজছি। তারা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই ওএমআর মেশিন এবং ব্যালট জারি করা হয়েছে জামায়াতের একজন নেতার মাধ্যমে।