
ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। আজ ২য় দিনের মতো জুমার নামাজ পরবর্তী এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা "আজাদী আজাদী! ইনকিলাব ইনকিলাব!", "হাদির বুকে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব দে!", "দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা!" এবং "গোলামী না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ!" বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলেন।
সমাবেশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
এসময় ববি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, "শহীদ আবু সাঈদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি। আর আজাদী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন আমাদের হাদি ভাই। ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করেছিল তাকে হত্যা করে আন্দোলন থামিয়ে দেবে, কিন্তু হাদির শাহাদাত এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে নিয়ে যাবে। ৫৪ বছরের ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলেই আমরা ঘরে ফিরবো।"
ববি শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "বাংলাদেশের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। ভারতের আগ্রাসনের শিকার শুধু হাদি নন, ফেলানিকেও আমরা হারিয়েছি। জুলাই আন্দোলনের চেতনা ও হাদি ভাইয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা পুনরায় দেশ গঠনে কাজ করে যাবো।"
ববি ইসলামি শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, "আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ ক্ষমতায় নেই, তবুও হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীরা কীভাবে 'সেফ এক্সিট' পায়? এই সন্ত্রাসীদের যথাযথ শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।"