
জাতিসংঘে আয়োজিত প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আরও ৯৬ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। নতুন এই প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সহায়তায় বড় একটি সংযোজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার দিবাগত রাতে ফেসবুকে একটি পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই অনুদানের ঘোষণা দেয়। সহায়তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে ৬০ মিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাজ্য ৩৬ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে বলে জানানো হয়।
একই সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটের মূল উৎস মিয়ানমারে এবং সমাধানও সেখানে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমার ও আরাকান আর্মির ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করে এবং তাদের দ্রুত রাখাইনে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “গণহত্যা শুরু হওয়ার আট বছর পরও রোহিঙ্গাদের দুর্দশা অব্যাহত রয়েছে। সংকট নিরসনের উদ্যোগের অভাব রয়েছে। আন্তর্জাতিক তহবিলের উদ্বেগজনক ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে।”
জাতিসংঘের ছায়ায় অনুষ্ঠিত এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট মোকাবেলায় নতুন করে আন্তর্জাতিক সংহতি ও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানানো হয়। রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মানবিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।