
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ইচ্ছাকৃতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে—এমন গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, খালেদা জিয়ার খাবার ও ওষুধে বিষ মেশানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ৯০-এর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রিজভী এই দাবি করেন।
রিজভী বলেন, “ভূতের মুখে রাম নাম, জাতীয় পার্টি বলছে এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। দলটি সহযোগী ছিল শেখ হাসিনার পৈশাচিক শাসনামলে। তারা আঁতাত করেছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এতো দীর্ঘ সময় লাগতো না গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যদি না জাতীয় পার্টি তাদের সহযোগী হতো। নব্বইয়েও এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল।”
তার অভিযোগ, “এরশাদ এবং হাসিনা একই চরিত্রের। গণতন্ত্রকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন। ব্যাংক লুট করেছিলেন এরশাদ আর চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের দণ্ড হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আদালতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। “কিছু বুদ্ধিজীবী বলছেন একই কায়দায় সব হচ্ছে, কিন্তু এখন তো কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় নেই, তাহলে কারা করছে? হাসিনার তৈরি করা ট্রাইব্যুনালেই তার বিচার হচ্ছে,” যোগ করেন তিনি।
রিজভীর বক্তব্যে আরও আসে—রাষ্ট্রীয় গুম ও খুন এখন আর হচ্ছে না, কোর্টকে প্রভাবিত করার ঘটনাও নেই। তার ভাষায়, “সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল হাসিনার হাতে। যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিক হত্যা করে, তাদের বিচার হবেই। পাপ বাপকেও ছাড়ে না।”
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির অবনতির জন্য ‘হাসিনোমিকস’ দায়ী। “ব্যাংকের টাকা ফেরত না দেওয়া, ঋণের খেলাপি সংস্কৃতি—এসবের বিস্তার ঘটেছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে না, দারিদ্র্যসীমা প্রসারিত হচ্ছে। এসব মোকাবিলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে,” মন্তব্য করেন রিজভী।