
আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হওয়া কার্যক্রমের মাঝে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে কাউকে দলের নেতৃত্বে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তার মতে, প্রয়োজন হলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেও এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন রাশেদ খান। পোস্টটিতে তিনি সরাসরি বলেন, "আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো একজন উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা নিজেও চাইলে দায়িত্ব নিতে পারেন।”
তার এই মন্তব্যের পেছনে প্রেক্ষাপট হিসেবে রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকার, যা তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জিটিও নামক একটি গণমাধ্যমে দিয়েছেন। সেখানে ড. ইউনূস বলেন, "আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এটি স্থায়ী নয়। প্রয়োজনে যেকোনো সময় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হতে পারে।”
এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই রাশেদ খান তার পোস্টে আরও লিখেছেন, “যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে তারা কাজ করেছেন, এখন পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিক। সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে বিপ্লবী জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে লাভ কী?”
ফেসবুক স্ট্যাটাসের সঙ্গে একটি পত্রিকার ফটোকার্ডও যুক্ত করেছেন তিনি, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ, তবে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে।