
পদত্যাগকারী দুই উপদেষ্টাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। সংগঠনটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, যদি দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত না করে, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঘেরাও করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিজয়নগরের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক উপদেষ্টা ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না। উপদেষ্টার পিএস-এপিএসদের দুর্নীতির মামলাগুলো অদৃশ্য কারণে নিষ্পত্তি করছে না দুদক।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের শেষ মুহূর্তে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যে সরকারের অধীনে নির্বাচন, সেই সরকারের সদ্য সাবেক উপদেষ্টারাই প্রার্থী। অর্থাৎ, এই নির্বাচন কখনোই নিরপেক্ষ হতে পারে না। এই নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে হলে তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সহযোগীদের দুর্নীতির দায় নিষ্পত্তি না হয়, উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হয়, ততক্ষণ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।”
তিনি উপদেষ্টাদের নির্বাচনী আসনে অস্বাভাবিক বরাদ্দের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, “পদত্যাগকারী এই উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে নিজের সম্ভাব্য নির্বাচনি আসনে অস্বাভাবিক বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া, প্রভাব খাটিয়ে ভোটার হওয়া, পিস্তলের লাইসেন্স নেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।”
সভাপতি মনজুর মুরশেদ মামুন বলেন, “কোন কোন উপদেষ্টাকে টেন পার্সেন্ট উপদেষ্টা ডাকা হয়। আমরা বারবার দুদককে বলেছি দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জাতির সামনে প্রকাশ করতে এবং উপদেষ্টাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করতে। কিন্তু দুদক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মূলত দুদক নিষ্ক্রিয়, অবৈধ ক্ষমতা খাটিয়ে তাদেরকে অনুগত দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে।”
তিনি জানান, আগামী বৃহস্পতিবার যুব অধিকার পরিষদ নির্বাচন কমিশনে একটি স্বারকলিপি জমা দেবে, যাতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কোনো উপদেষ্টা বা ব্যক্তির মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “৭ দিনের মধ্যে দুদকের কোনো পদক্ষেপ দৃশ্যমান না হলে আমরা দুদকের সামনে অবস্থান কর্মসূচিসহ ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।”