
রংপুরের তারাগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের হত্যার ঘটনায় পুলিশ এক কিশোরকে আটক করেছে।
শুক্রবার ভোরে তারাগঞ্জ উপজেলার খিয়ার জুম্মা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক কিশোরের নাম মোরসালিন। পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী এই কিশোরই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি হিসেবে পরিচিত। তারাগঞ্জ থানার পরিদর্শক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু ছাইয়ুম তালুকদার জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
পরিদর্শক তালুকদার বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়ালটির বিষয়েও কথা বলেছে মোরসালিন। তাকে নিয়ে আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে ব্রিফিং এর মাধ্যমে জানানো হবে কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”
ঘটনার প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে দেখা যায়, ৬ ডিসেম্বর তারাগঞ্জের রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়ির ডাইনিং রুম থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় এবং রান্নাঘর থেকে তার স্ত্রী সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের পর পরদিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্থানীয় শ্মশানে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায়কে সমাহিত করা হয়। একই শ্মশানে তার স্ত্রী সুবর্ণা রােকেও দাফন করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অংশ হিসেবে নিহত দম্পতির ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।