
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ শুরু হয়।
অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ শাহরিয়ারের বাবা মো. আবুল হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মিরপুর ১০ নম্বরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমাদের এখানে অনেক শহীদ পরিবার আছে এবং আহত পরিবারও আছে। আমার ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। খুনি হাসিনা পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। খুনি হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদসহ হেলমেট বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমি চাই, এই খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হোক। আমরা কোন অজুহাত শুনতে চাই না। যদি এই খুনিদের বিচার না করা হয়, আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হব। আমাদের রাস্তায় নামাবেন না। আমরা চাই, আমাদের সন্তান হত্যার বিচার করুন।’
এ দিকে, সমাবেশে অংশ নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা উপস্থিত হতে থাকে। কর্মসূচিকে ঘিরে শহীদ মিনারে হাজারো ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন-আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে।’