
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়াকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুরে ঘটেছে।
ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলামের ভাইসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ইউএনও এদিন বিকেলে আশুগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ইউএনও রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জের ভৈরব অংশে পৃথক দুটি বালু মহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। “আমি ও ভৈরবের ইউএনও ইতোমধ্যেই তাদের সীমানা বোঝিয়ে দিয়েছি। অভিযোগ ছিল আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় জাতীয় গ্রিডের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের কাছাকাছি ড্রেজারে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন হচ্ছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো স্থাপনার এক কিলোমিটারের ভেতরে বালু উত্তোলন করা যাবে না। এ তথ্য যাচাই করতে মঙ্গলবার সকালে আমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়, যেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।”
তিনি আরও জানান, ভৈরবের ইজারাদার আশুগঞ্জের অংশে বৈদ্যুতিক টাওয়ারের কাছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল। এই সময় ৫টি ড্রেজার ও ৫টি বাল্কহেড জব্দ করা হয় এবং দুজনকে এক বছর করে সাজা দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে ফেরার পথে ইজারাদার ও রফিকুল ইসলামের ভাই তারেকের নেতৃত্বে সাত-আটজন স্পীডবোটে এসে ইউএনওকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। তবে ইউএনও ড্রেজারের সঙ্গে লাগানো স্পীডবোটে নিরাপদে চলে আসেন। অভিযুক্তরা জব্দ করা একটি ড্রেজার ও দুটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা রেজা জানান, আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে সাতজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।