
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউস থেকে ৮ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগের বছরের চেয়ে এ লক্ষ্য ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। তবে সেই সময় আদায় হয় ৭ হাজার ২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি।
রোববার দুপুরে বেনাপোল কাস্টমসের পরিসংখ্যান শাখার সহকারী মাসুম মিয়া জানান, “তাঁরা আশা করছেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও নিরলস প্রচেষ্টা বছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।”
বেনাপোল কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, প্রতিবছর ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করে এনবিআর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত থেকে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়। এসব পণ্য থেকে রাজস্ব আদায় হয় ৭ হাজার ২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
তবে এবারের বাড়তি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল বন্দর আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, “৫ আগস্ট পর থেকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা এসেছে বাণিজ্যে। এতে বর্তমানে সুতা, গুঁড়া দুধ, তামাক, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের কাগজ ও পেপার বোর্ড আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বাণিজ্যের পরিমাণ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৬০ শতাংশ কমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।”
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বন্দরবিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ মনে করেন, “কাস্টমসে পণ্য ছাড়করণ সহজ ও ব্যবসায়ীদের বৈধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না হলে রাজস্ব আয় বাড়ার সুযোগ কম।”
একই সংগঠনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, “রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সিঅ্যান্ডএফ সদস্যদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তবে রাজস্ব আয় বাড়লে এখনো সুবিধাবঞ্চিত ব্যবসায়ীরা। কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। এতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এনবিআর এসব দিকে নজর দিলে লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব আয় সম্ভব।”