
বিএসএফের মহাপরিচালক দালজিৎ সিং চৌধুরী দাবি করেছেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকারীরা নিজেদের ইচ্ছায় আসছেন এবং ভারত কোনো পুশব্যাক কার্যক্রম চালায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা জেলা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, “যারা আসছেন, তারা স্বেচ্ছায় আসছেন। লাইফ থ্রেট ছাড়া বিএসএফ কখনও গুলি চালায় না। ভারত কোনো পুশব্যাক করেনি।”
এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানান, সীমান্ত সম্মেলনে তারা বিএসএফকে প্রশ্ন করেছেন, একজন শিশু কীভাবে তাদের থ্রেট হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে চলতি বছরে কিছু ঘটনা ঘটায় তারা সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। বিএসএফ দাবি করেছে, আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি চালিয়েছে। এছাড়া কেউ ভুলক্রমে ভারতীয় সীমানায় প্রবেশ করলে তাকে বিজিবির কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।”
জানা গেছে, ২৫ থেকে ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। এতে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। এতে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ছিলেন।
এই সীমান্ত সম্মেলন দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।