বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, তাকে মেরে ফেললেও তিনি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন না। সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফজলুর রহমান বলেন, “আমি যে কথা বলছি, ছেলেরা বা ছাত্ররা যদি মনে করেন বা অন্য দলের লোকেরা মনে করেন..., জামায়াত-শিবির, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী লোকজনের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছি, আমি বলব। এতে যদি কারও অসম্মান হয় বা কাউকে আঘাত করে থাকি তাহলে তারা এটার রাজনৈতিক (পলিটিক্যালি) জবাব দেবেন। এটার জন্য পরস্পরকে হত্যা করার কোনো যুক্তি নেই। এ নিয়ে আমার বাসার সামনেও মব সৃষ্টি করার তো কোনো কারণ হতে পারে না।”
জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিএনপি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রোববার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তার বাসার সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ফজলুর রহমান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখনো তার বাসার সামনে অবস্থান করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন বলে আমি মনে করি।”
বিক্ষোভের সময় পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি জানি, তারা এখনো সেখানে আছেন। আমার বাসা থেকে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসেছিল। এটা আমি অস্বীকার করব না। একেবারে ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসেছিল। আমি তাদেরকে কোনো দোষ দিচ্ছি না।”
ফজলুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের মানুষকে জানাতে চাই, আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে। আমি আমার জীবন নিয়ে যতটা চিন্তিত, তার চেয়ে আমার পরিবারকে নিয়ে বেশি চিন্তিত। মৃত্যুকে আমি ভয় করি না, তবে অপমৃত্যু আমার কাছে বেশি লজ্জাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। তবে মেরে ফেললেও কোনো জিডি করব না। ছাত্ররা যদি মনে করে বা ছেলেরা যদি মনে করে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তাতে অপরাধ হয়েছে, তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, কারাগারে পাঠিয়ে দিক।”
৫ আগস্টের অভ্যুত্থান নিয়ে কিছু বলবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি এটার কোনো জবাব দেব না।”
সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমানের স্ত্রী ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন।