
ফেনীর সোনাগাজীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে ধরতে গেলে পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ হামলাকারীরা পুলিশের কাছ থেকে একটি শটগান ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের অভিযানে একজন আসামিকে গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম আহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হোসেন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়েই পুলিশের ওপর এই হামলা হয়।
সোনাগাজী থানার সহকারী উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ও মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওয়ারেন্টভুক্ত দুই আসামি, আবুল হাশেমের ছেলে জাহেদুল ইসলাম রিপন ও রফিকুল ইসলাম আরিফকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে অভিযানে যান। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এ সময় আসামি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে পুলিশের ওপর চড়াও হন এবং দুই কর্মকর্তা আহত হন।
হামলার একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশের একটি শটগান ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অতিরিক্ত সদস্য নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং ঘিরে ফেলেন পুরো এলাকা। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় পুলিশের লুণ্ঠিত শটগান ও ওয়াকিটকি।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।” তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া রিপনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। পলাতক রফিকুল ইসলাম আরিফ এবং হামলায় জড়িত অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।