
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা থেকে সরানো পাথর তিন দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সময়সীমার মধ্যে নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পদ্মসন সিংহ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া।
পদ্মসন সিংহ বলেন, “সাদাপাথরের সৌন্দর্য আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রত্যেক ওয়ার্ডের লোকজনকে সাদাপাথরগুলো ফেরত দিতে হবে। কেউ যদি পাথর ফেরত না দেয়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, এ নির্দেশনা শনিবার বিকেল থেকেই মাইকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে জানানো হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, “কোম্পানীগঞ্জ একটি পাথর অধ্যুষিত এলাকা। পর্যটন ও সংরক্ষিত এলাকা নির্ধারণ করে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া জরুরি। তা না হলে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
তারা আরও অভিযোগ করেন, বৈধ উপায়ে আমদানি ও ক্রাশিং করতে গিয়ে পাথর ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি স্থগিত থাকা ক্রাশিং মিলগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের দাবি জানানো হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ-গোয়াইনঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল নোমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুজন চন্দ্র, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ফয়জুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী।