
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. আবুল কাশেম নামে এক মাটি ব্যবসায়ীকে ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার বিকেলে সোনাইমুড়ি পূর্বপাড়া, আবেদ ভুঁইয়া বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবেদ ভুঁইয়া বাড়ির দুধ মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা তাকে মাটি ব্যবসায়ী হিসেবে চেনেন। গ্রেপ্তাররা হলেন— সোনাইমুড়ি গ্রামের হাবিবুল্লাহ ডাক্তার বাড়ির মাইন উদ্দিন, তার ছেলে রাকিব এবং জমাদার বাড়ির আবুল খায়ের মাস্টার।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার আবেদ ভুঁইয়া বাড়ির মসজিদের সামনে ক্রিকেট খেলার ঘটনায় জমাদার বাড়ির খায়ের মাস্টার ও ভুঁইয়া বাড়ির ফরহাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের পর সালিশ বসার কথা থাকলেও বৈঠক হয়নি। পরে ফরহাদ আবার খেলার মাঠে ফিরে গেলে রাহাত, সজীব ও জসিম তাকে কিলঘুষি মারতে থাকে।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কাশেম ও তার ছেলে সোহাগ বাধা দিতে যান। তখন মুহূর্তের মধ্যে আবুল খায়ের মাস্টারসহ ৩০-৪০ জন কাশেম ও সোহাগের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। খায়েরের ছেলে আনোয়ার, ফারুক, জাহাঙ্গীরসহ ৮-১০ জন ইট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে কাশেমের মৃত্যু নিশ্চিত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে কাশেমকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাইমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।” গ্রেপ্তারদের শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।