
নেপালে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। বিষয়টি শুক্রবার রয়টার্সকে একটি সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক গণবিক্ষোভ হয়। নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ৩৪ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হন। দুই দিনের আন্দোলনের পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।
এক সংবিধান বিশেষজ্ঞ রয়টার্সকে জানান, কারকিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিশেষজ্ঞের দাবি, নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল তার সঙ্গে শলাপরামর্শ করেছেন। তবে সংবেদনশীলতা বিবেচনায় তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, জেন জি প্রজন্ম তার (কারকির) প্রতি আগ্রহী। আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই এই প্রজন্মের হওয়ায় তার নাম জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এক জেন জি সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পাওদেলের বাসভবনে একটি বৈঠকের পর কারকিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। রয়টার্স প্রেসিডেন্ট দপ্তর ও সেনা মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নেপাল ভারতের ও চীনের মধ্যে অবস্থান করছে। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। কর্মসংস্থানের অভাবে লাখ লাখ নেপালি বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন এবং দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন।
শুক্রবার রাজধানী কাঠমান্ডুতে স্বাভাবিকতা ধীরে ধীরে ফিরে এসেছে। দোকানপাট খুলছে, রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। পুলিশের হাতে আগের মতো বন্দুক নেই, তারা লাঠি হাতে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখনো বন্ধ রয়েছে এবং সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন, যদিও সংখ্যায় আগের তুলনায় কম।