
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিদেশে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ২৯ আগস্টের ঘটনার দ্রুত ও কঠোর বিচারের দাবি জানিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি দ্রুত সুষ্ঠু ব্যবস্থা না নেয়া হয়, ভবিষ্যতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তারা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত নেবেন না।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নুর বলেন, “…২৯ অগাস্টের ঘটনার বিচার না হলে, আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা পরাব।”
গত ২৯ অগাস্ট ঢাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর লাঠিপেটার শিকার হন তিনি; রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২২ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন এবং বিদেশে ১২ দিন চিকিৎসা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন। বিমানবন্দর ভিআইপি গেটের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
নুর অভিযোগ করেন, হামলার তদন্ত করতে গতানুগতিক ধরনের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে যা কার্যকর হওয়া থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের সময় শেখ হাসিনার গদিকে চ্যালেঞ্জ করে আন্দোলন করেছিলাম আমরা, ওই সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এরকম বর্বরোচিত হামলার শিকার আমরা হইনি।”
নুর আরও বলেন, “এটা একটা টার্গেট অপারেশন ছিল। আমাকে আমাদেরকে টার্গেট করে হামলা পরিচালিত হয়েছে। তাই আমি রাজনৈতিক দল এবং গণঅভ্যুত্থানকারী নেতাদের বলব, আপনারা যদি পরবর্তী সিরিয়ালে পড়তে না চান, এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক, যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জড়িত থাকুক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে।”
বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, তদন্তে গাফিলতির কারণে তাদের আস্থা কমে গেছে। তিনি বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি ওই গতানুগতিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, মিটিং চলছে, প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। এই যে প্রায় ৩৫ দিন পার হয়ে গেছে, একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, তাও তাদের কর্মকাণ্ডে আমরা গাফিলতি দেখতে পাচ্ছি।”
নুর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, একটি বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছে। সাবেক এক প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের ইমাম পালিয়ে গেছে দেশ থেকে। সুতরাং ২৯ অগাস্টের ঘটনার বিচার না হলে, আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব।”