
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার বিচার না হলে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) গুরুতর আহত নুরকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ফুয়াদ বলেন, “আমরা খুব হতাশ। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ করার জন্য যা যা দরকার সব করছে। আওয়ামী লীগের সময়ে যেমন গুম-খুন-হত্যার বিচার হতো না, এখনও সেই চিত্রই দেখছি। যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের মনে রাখা উচিত, নুরের বিচার না হলে নিজেদের গলার রশির যত্ন নিতে হবে। ফাঁসির মঞ্চে যেতে হবে আপনাদের।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যৌথবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা নুরকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়েছে। এতে নুরের নাকের হাড় ভেঙে গেছে, তিনি মুখ দিয়ে শ্বাস নিচ্ছেন এবং স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে পারছেন না। একই ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানও গুরুতর আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফুয়াদ বলেন, “হামলার এক সপ্তাহ পার হলেও যেসব অফিসার জড়িত, কাউকে এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি। আমরা জানি, যৌথবাহিনীর কিছু সিনিয়র অফিসার ও জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরের ঘনিষ্ঠরা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুবই অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। তারাও বিরোধী দলের মতো নিন্দা করছে, উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তারা বিদেশে নুরকে পাঠানোর কথা বলছেন। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা, কিন্তু তা করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নিন্দা জানাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এবং অন্তর্বর্তীকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার। এই ইউজলেস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনেক আগেই ফেলে দেওয়া দরকার ছিল এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতিদিন অন্যায় অবিচার করছে এবং বেইমানি করছেন।”
ফুয়াদ অভিযোগ করেন, নুরের ওপর হামলা শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি দাবি করেন, এই হামলার সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা যুক্ত।
তিনি বলেন, “নুরের ঘটনা আমরা কোনো সাধারণ হামলা হিসেবে দেখছি না। এটা উচ্চপর্যায়ের এসাসিনেশন প্ল্যানের অংশ। অন্তর্বর্তী সরকার যদি দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করে, তাহলে জনগণই বিচার করবে। আর তখন উপদেষ্টাদের অনেকের লাশও পড়বে।”
এসময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।