
অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তার দাবি, এই উপদেষ্টারা প্রধান উপদেষ্টাকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করছেন।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত আট দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
তাহের বলেন, “আজকে তিনজন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে এবং ভুল তথ্য দিয়ে, নানাভাবে বুঝিয়ে একটি দলের হয়ে কাজ করছে। তারা সরকারকে এমনভাবে পরিচালনা করতে চাচ্ছে যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না হয়।”
প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হলে স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব বেশি হয়ে যাবে, আর গণভোটে ভোট পড়ার হার কমে গেলে যারা সংস্কার চায় না তারা তা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবে।
তিনি বলেন, “সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে হোক, একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে, যা সংস্কারের গুরুত্ব প্রায় শূন্যে নামিয়ে দিয়েছে।”
তাহের আরও অভিযোগ করেন, সরকারের পক্ষ থেকে ওই দলের প্রতি ‘আনুগত্য বা দুর্বলতা’ আগেই প্রকাশ পেয়েছে। তার মতে, লন্ডনে গিয়ে নির্বাচন তারিখ ঘোষণার মাধ্যমেই এর সূচনা হয় এবং পরবর্তী সময়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার বদলে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ প্রকাশ করাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, জাগপার মুখপাত্র রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব কাজী নিজামুল হক।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, নভেম্বরে গণভোট আয়োজন এবং নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই দলগুলো হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি।