
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ ১২ জনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এই আদেশ প্রদান করেন।
শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির করা একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনকে ভিত্তি করে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ ও জনগণের ভোটবিহীন নির্বাচন’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ৯ জন নির্বাচন কমিশনার ও দুই নির্বাচন কমিশন সচিব। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাদিক।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা বর্তমানে পলাতক থাকায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এসএস ইমিগ্রেশন (প্রশাসন) ও বিএসইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি গত ২২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকা সময় ৩টি জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম, নির্যাতন ও ভোটপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করা হয়।
মামলায় সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ, সরকারি কর্মচারী হিসেবে অবৈধ ভোট হস্তক্ষেপ, ভোটের কাজ সম্পন্নে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং ভোটের সঠিক ফলাফল না দেখিয়ে মিথ্যা বিজয়ী ঘোষণা করার অভিযোগ রয়েছে। এরপর মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের ধারা যুক্ত করা হয়।
এছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে।