
পিরোজপুরের কাউখালীতে মাদক মামলায় এক মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তার দুই সন্তানকে যথাক্রমে এক বছর নয় মাস ও এক বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড ধার্য করা হয়েছে। অন্য দুই সন্তানের জন্যও যথাক্রমে ৩ হাজার ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মো. মজিবুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। একই সময়ে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল কালাম আকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শারমীন আক্তার (৪৫), তার ছেলে মো. মেহেদী হাসান মুন্না (১৯) এবং মেয়ে ইকতার জাহান তিশা (২২)। এর মধ্যে শারমীন আক্তারকে যাবজ্জীবন, ছেলে মেহেদী হাসানকে এক বছর নয় মাস এবং মেয়ে ইকতার জাহানকে এক বছর ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খালাসপ্রাপ্ত হয়েছেন শারমীন আক্তারের আরেক ছেলে সাইফুল ইসলাম পায়েল (২৬)।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পিরোজপুর জেলা পরিদর্শক মো. বদরুল হাসান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিয়ালকাঠী গ্রামের ওই পরিবারের বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানে ৮,৫০০ পিস ইয়াবা ও ২ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। এরপর বদরুল হাসান চারজনকে আসামি করে কাউখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণের পর আদালত তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন।
পিপি আবুল কালাম আকন জানান, “আদালত একজনকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়েছেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড এবং অন্য দুইজনকে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।”