
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর রাতেই তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
সিআইডির গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন জানান, গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আফ্রিদি ১১ নম্বর আসামি। বর্তমানে তিনি সিআইডির হেফাজতে রয়েছেন।
গ্রেপ্তারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, স্ত্রীসহ আফ্রিদিকে আটক করছে পুলিশ। ভিডিওতে আফ্রিদিকে বলতে শোনা যায়, “আমি শুধু ভয় পাচ্ছিলাম, কারণ আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।”
অভিযানের সময় পুলিশের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটি তাঁর দাদার বাড়ি। বাবার গ্রেপ্তারের পর তিনি দাদার কবর জিয়ারত করতে সেখানে গিয়েছিলেন। অন্য এক মুহূর্তে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি পালাব না। কোরআনের কসম, আমি ওমরাহ করে এসেছি। আমি কেমন ছেলে, তা সবাই জানে।”
উল্লেখ্য, এই মামলায় আফ্রিদির বাবা এবং মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৭ আগস্ট ঢাকায় তাঁকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ২৫ জনকে। প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তৃতীয় আসামি সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তৌহিদ আফ্রিদি মূলত ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্লগ ও ভ্রমণকেন্দ্রিক কনটেন্ট তৈরি করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণদের মধ্যে তিনি বিশাল এক অনুসারী গড়ে তুলেছেন।