.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই। চারটার পরও যেসব শিক্ষার্থী লাইনে থাকবেন, তাদের ভোট গ্রহণ করা হবে।
উপাচার্যের ভাষ্য, কার্জন হলে ভুলক্রমে একটি ছোটখাটো সমস্যা হয়েছিল, যা সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, ঘটনাটি পুনরায় তদন্ত করা হবে এবং কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ডাকসু নির্বাচন এখন দেশের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আশা করি, যিনি জিতবেন এবং যিনি পরাজিত হবেন, উভয়েই ফলাফল মেনে নেবেন।
এবার ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৪৫, জিএসে ১৯ এবং এজিএসে ২৫ জন লড়ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচ ছাত্রী হলে ভোটার আছেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩ ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন।
ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামীম-মায়েদ পরিষদ বিশেষভাবে আলোচনায় রয়েছে। এ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অন্যদিকে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএসে মহিউদ্দিন খান লড়ছেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেল থেকে ভিপি পদে আবদুল কাদের এবং জিএস পদে আবু বাকের মজুমদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে জিএস পদে মনোনীত মাহিন সরকার ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে আবু বাকের মজুমদারকে সমর্থন দিয়েছেন।
এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, ছাত্রঅধিকার পরিষদ থেকে ভিপি পদে বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বামপন্থী শিক্ষার্থীদের প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে ভিপি পদে শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ও জিএস পদে মেঘমল্লার বসুও লড়ছেন।