
জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য নির্ধারণের চূড়ান্ত ক্ষমতা শুধু সরকারের রয়েছে- এ কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশিত রায়ে আদালত বলেছে, এসব গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম কোনোভাবেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে রাখা যেতে পারে না।
২০১৮ সালে সরকার একটি সার্কুলারের মাধ্যমে জীবনরক্ষাকারী ১১৭টি ওষুধ বাদে অন্যান্য ওষুধের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়েছিল। ওই সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। রিটের প্রেক্ষিতে আদালত তখন রুল জারি করেছিলেন।
রিটকারী আইনজীবীরা যুক্তি দেন, “ওষুধ মানুষের বেঁচে থাকা এবং রোগ প্রতিরোধের অন্যতম প্রধান উপাদান। মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সীমিত করে সরকারের দায়িত্ব কমানো নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে বেঁচে থাকার অধিকারের ওপর প্রভাব ফেলে।”
শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্কুলারটি অবৈধ ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা নির্ধারিত দাম গেজেটে প্রকাশ করবে।
উল্লেখ্য, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ অনুযায়ী সরকার ১৯৯৩ সালে ৭৩৯টি ওষুধের দাম নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। পরে ১৯৯৪ সালের সংশোধিত নীতিতে শুধুমাত্র ১১৭টি জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম সরকারের হাতে রেখে বাকি ওষুধের দাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়।