
গুরুতর দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গাজীপুরের ৩৬ বিঘা জমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. সাব্বির ফয়েজ দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আদেশটি দেন।
আদালতের নির্দেশে আইএফআইসি ব্যাংকে সালমান এফ রহমানের নামে থাকা একটি হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে ৫৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন।
সেদিনই দুদকের সহকারী পরিচালক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সংশ্লিষ্ট আবেদনে জানান, আসামিরা তাদের ব্যাংক হিসাবের অর্থ সরিয়ে নেওয়া বা স্থাবর সম্পদ অন্যত্র স্থানান্তরের মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
দুদক গত ২০ এপ্রিল ওই মামলাটি দায়ের করে। অভিযোগ অনুযায়ী, জালিয়াতির মাধ্যমে মর্টগেজ সম্পত্তির অস্বাভাবিক অতিমূল্যায়ন দেখিয়ে বন্ড ইস্যুর বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং “জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয়ে” সিআইবি প্রতিবেদন ছাড়াই প্রস্তাবিত মর্টগেজ সম্পত্তির মূল্যায়ন করে। ৮৭ কোটি টাকার জমিকে তারা এক হাজার ২০ কোটি টাকা দেখিয়ে বন্ড ছাড়ের উদ্যোগ নেয়।
আরো উল্লেখ করা হয়, সদ্য রেজিস্ট্রিকৃত ও অনভিজ্ঞ মালিকানার একটি কথিত কোম্পানির জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বন্ডের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেডের চলতি হিসাবে জমা করা হয়। পরে সেখান থেকে ২০০ কোটি টাকা এফডিআর করার পর অবশিষ্ট ৮০০ কোটি টাকা বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বেক্সিমকো গ্রুপ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
দুদকের অভিযোগ, এসব লেনদেন ব্যাংকিং নিয়ম ভঙ্গ করে করা হয়েছে এবং নগদ ও সন্দেহজনক আর্থিক আদানপ্রদানের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।