
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ অভিযানে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হামজাসহ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার দুপুর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঝটিকা মিছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন এবং সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন - কাফরুল থানা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য নাহিদা নূর সুইটি (৪৮), মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিরাজ সিকদার (২৮), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বায়েজিদ (৪৫), উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিকলীগ নেতা মহর আলী (৪০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ ইবনে সাদিক (৩০), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৫৩), কোতোয়ালি থানা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক নিতাই ঘোষ (৬৫), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. শামীম শিকদার (৪০), বংশাল থানা ৩২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দীন সুমিত (২৯), গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা (২৮), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাকিব কাজী (২৪), রূপনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাদিম শেখ (২২) এবং যুবলীগ কর্মী মো. রেজওয়ান হাওলাদার (২৯)।
ডিএমপি জানায়, শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর কাফরুল, ফকিরাপুল, কাজীপাড়া, তুরাগ, কাটাবন, পরিবাগ, নয়াবাজার, দাড়িপাড়া ও বংশাল এলাকায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এরপর শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আরও চার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সম্প্রতি হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টা চালিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।