
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় গৃহবধূ রহিমা বেগমকে(৩৮) গলা কেটে হত্যা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে র্যাব-১, র্যাব-৬ ও র্যাব-১১ নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী এলাকা এবং বাগেরহাটের কচুয়া থানার দেপাড়ায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার নন্দু নেপড়া গ্রামের আ. হাকিমের ছেলে আইনুল ইসলাম ওরফে বুলেট (২২) এবং বাগেরহাটের কচুয়া থানার গজারিয়া গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে রাজীব (২০)।
র্যাব-১ গাজীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. নাফিজ বিন জামাল জানিয়েছেন, শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে কোনাবাড়ীর বাইমাইল এলাকায় নওয়াব আলী মার্কেটের একতা ভিলার ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে রহিমা বেগমের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার স্বামী ইমরান হোসেন (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় ছিলেন।
নিহতের ভাই আ. রহিম বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে তদন্ত শুরু করে। প্রযুক্তির সাহায্যে শনিবার রাতেই আলগী এলাকা থেকে বুলেট এবং দেপাড়া বাজার থেকে রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে যে, রহিমা বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে শ্বাসনালি কেটে হত্যা করা হয়েছে এবং স্বামী ইমরানের গলায় আঘাত করা হয়েছে। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, “গ্রেপ্তার দুই যুবক নিহতের মেয়ের বন্ধু। তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে হত্যার প্রকৃত কারণ জানা হবে।”