
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোক। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বিবর) এনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সকাল সোয়া ৭টার দিকে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে ফোন করে বলেন, ‘আম্মা আর নেই।’
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া মারা যান। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এভারকেয়ার হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
দীর্ঘদিন ধরেই নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন খালেদা জিয়া। মুক্তি পাওয়ার পর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তাঁকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া হয়। সে সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে বিভিন্ন রোগজনিত জটিলতা এবং দীর্ঘদিনের শারীরিক ও মানসিক ধকল তাঁকে ক্রমেই দুর্বল করে তোলে। বয়সজনিত সীমাবদ্ধতাও ছিল বড় বাধা। প্রায়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হতো।
সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক মাসেরও বেশি সময় সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর চিকিৎসায় সাড়া দিতে পারেননি।
‘দেশনেত্রী’ ও ‘আপসহীন’- এই উপাধিতে পরিচিত খালেদা জিয়া চিরদিনের জন্য বিদায় নিলেন তাঁর প্রিয় দেশবাসীর কাছ থেকে।