
মেয়ের সম্পদ নিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগে আলোচনায় এলেন সাবেক মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের পরিবার। তার মেয়ে ঐশী খান নির্ধারিত সময়েও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর দুদক কার্যালয়ে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলাটি করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
দুদকের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অনুসন্ধানে ঐশী খানের নামে ১ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদ এবং পারিবারিক ব্যয় হিসেবে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকার তথ্য পাওয়া যায়। মোট ১ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৯০৪ টাকার সম্পদের বিপরীতে তার বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া গেছে মাত্র ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯২ টাকা। দুদক বলছে, এই হিসেবে ১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৯২ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের বাইরে অর্জিত। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে, তার নামে বা বেনামে অতিরিক্ত সম্পদ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।
দুদক জানায়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঐশী খানকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশ পাঠানো হয়। তবে নির্ধারিত ঠিকানায় নোটিশ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে গত ১০ জুলাই সম্পদ বিবরণী ফর্ম ঝুলিয়ে রেখে নোটিশ জারি করা হয়। পরে তিনি এক মাস সময় বৃদ্ধির আবেদন করলে নিয়মিত ২১ কার্যদিবসের সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। তবুও সে সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
কমিশন জানায়, নির্ধারিত সময়সীমায় সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়া দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পাশাপাশি জ্ঞাত আয়ের বাইরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২৭(১) ধারায়ও অভিযোগ প্রযোজ্য বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।