.png)
ইসলামী ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে শত কোটি টাকা ঋণ আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডি আমিনুল ইসলাম এবং ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ মোট ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলম, নাবিল গ্রুপের এমডি আমিনুল ইসলাম, সোনালী ট্রেডার্সের পরিচালক শহিদুল আলম, সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার মিলসের এমডি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাসানুজ্জামান, নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের এমডি মামুন অর রশিদ ও চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা, সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর নাজমুল হাসান, সাবেক নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিনসহ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ঋণ প্রস্তাবনা সুপারিশ ও অনুমোদন করেন আসামিরা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে তারা ৬৭০ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা অনুমোদন করান। এর মধ্যে ৩৬৩ কোটি টাকা বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, এসব কার্যক্রমে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল। ফলে জালিয়াতি, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার সংঘটিত হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর একাধিক ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর আওতায় মামলা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অন্তত অর্ধ ডজন মামলা করেছে দুদক। একইভাবে নাবিল গ্রুপের কর্ণধার ও ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত ও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।