
নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের প্রতীক বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া পদক এবার ক্রীড়াঙ্গনের একজন উজ্জ্বল মুখকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সমাজ ও নারী উন্নয়নে অবদানের জন্য এই পদক প্রদান করে থাকে। ২০২৫ সালের এই পদকের জন্য নারী শিক্ষা খাতে ড. রুভানা রাকিব, শ্রম অধিকার আন্দোলনে কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার খাতে ড. নাবিলা ইদ্রিস এবং ক্রীড়ায় নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ঋতুপর্ণা চাকমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ঋতুপর্ণা চাকমা বাংলাদেশের ফুটবল ক্ষেত্রে সুপরিচিত নাম। তার জোড়া গোলের ফলে বাংলাদেশ শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পায়। শুধু এশিয়া কাপই নয়, গত বছর সাফ ফাইনালে তার গোলের কারণে বাংলাদেশ নেপালকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সামাজিক ও পারিবারিক নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ঋতুপর্ণা এখন ক্রীড়াঙ্গন ছাড়িয়ে দেশের প্রতীকী নারী নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস ৯ ডিসেম্বর। ঐ দিনই সরকার রোকেয়া পদক প্রদান করে। এর আগে রোকেয়া দিবসে ক্রীড়াবিদদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়নি। গত বছর কিংবদন্তি দাবাড়ু রাণী হামিদকে পদক দেওয়া হয়েছিল। এবার ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদকের অধিকারী হয়েছেন। আগামীকাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে পদক হস্তান্তর করা হবে।
এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ২০২৫ সালে এই পদক পেয়েছিল। এর আগে ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কোনো নারী পদক পাননি। সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার আব্দুল হামিদ সাংবাদিকতার জন্য একুশে পদক অর্জন করেছিলেন। দল হিসেবে একুশে পদক অর্জনে নারী দলই প্রথম।