
অস্ট্রেলিয়া কট্টর ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সংসদ সদস্য সিমচা রথম্যানের ভিসা বাতিল করেছে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কঠোর বিরোধিতা ও বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।
রিপোর্টে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সদস্য এবং রিলিজিয়াস জায়োনিজম পার্টির প্রতিনিধি রথম্যান দীর্ঘদিন ধরেই অধিকৃত পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন।
স্থানীয় একটি রক্ষণশীল ইহুদিবাদী সংগঠনের আমন্ত্রণে চলতি মাসে তার সিডনি ও মেলবোর্ন সফর করার কথা ছিল। তবে ভিসা বাতিল হওয়ায় সেটি আর হচ্ছে না।
সম্প্রতি একাধিক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াও আগামী মাসে এ ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে রথম্যান মন্তব্য করেছিলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ‘একটি গুরুতর ভুল এবং হামাস ও সন্ত্রাসবাদের জন্য বড় পুরস্কার’।
এর আগে গত জুনে পশ্চিম তীরে সহিংসতায় উসকানির অভিযোগে রথম্যানের দলীয় সহকর্মী ও নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ।
রথম্যান জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া সরকার তাকে জানিয়েছে যে তার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণেই ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, আমি যা বলেছি, তা ইসরায়েলি জনগণের বিশাল অংশ এবং সরকারের পক্ষ থেকেও বহুবার বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বলেছেন, যারা ঘৃণা ও বিভেদের বার্তা নিয়ে আসবেন, তারা এখানে স্বাগত নন। আমাদের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়াকে এমন একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলা, যেখানে সবাই নিরাপদ থাকবে এবং নিরাপদ অনুভব করবেন। তবে রথম্যানের ভিসা বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি তিনি।
বর্তমানে রথম্যান ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের বিচারবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ)। সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী রবার্ট গ্রেগরির মতে, রথম্যানের সফরের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় ইহুদি সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ ও ইহুদিবিদ্বেষের শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়ানো।
সূত্র: রয়টার্স