
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদকে অপসারণের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাকসুর সহসভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
তিনি জানান, “চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশ উপাচার্য সই করে ফাইলটি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠান। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে একই দিনে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চিঠিটি ইস্যু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত চিঠি ইস্যু না হওয়ায় বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়েছে, যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতির কারণ হয়েছে।”
মোস্তাকুর রহমান জাহিদ আরও বলেন, “রাকসুর সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য সালাহউদ্দিন আম্মা রেজিস্ট্রার দপ্তরে গেলে এক কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার তখন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে আসতে বলেছেন। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা যেমন নীতিগতভাবে অনুচিত, তেমনি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসনের পরিপন্থি।”
রাকসুর সহসভাপতি দাবি করেন, “রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আলম মাসউদের অশোভন আচরণের তদন্ত করে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে।”
ঘটনার সূত্রপাত রোববার (০৯ নভেম্বর) রাতে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ ও রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার মধ্যে উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডা ঘটে। ওই বাগবিতণ্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সূত্রের খবর, বিতর্কের দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এনামুল হকের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল। রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব ওই শিক্ষকের অব্যাহতির চিঠিতে সই করেন, তবে রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে তা বিভাগে পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অসন্তুষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ত, জিএস সালাহউদ্দিন আম্মা অভিযোগ পান, রেজিস্ট্রার তার কার্যালয়ে ‘মহানগর বিএনপির’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সভা করছেন। এই দুটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তিনি রেজিস্ট্রারের কক্ষে প্রবেশ করেন, যা বাগবিতণ্ডার সূত্রপাত করে।