
তিন দফা দাবিতে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রেললাইন অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুই দফায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস আটকে রাখেন তারা। এরপর আবার বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম ও পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে আশ্বাস দেন, আগামী মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের আশ্বাসের পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহাদ এনাম বলেন, ডিসি ও এসপির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে আগামী মঙ্গলবার কৃষি উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের প্রতিনিধিদলের আলোচনার ব্যবস্থা করবেন। তাদের আশ্বাসে আজকে আমরা ট্রেন অবরোধ তুলে নিয়েছি। এর আগেও আমরা অনেক আলোচনা করেছি, কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। এবারও এ রকম হলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচিতে যাব।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মিছিল শুরু হয় কৃষি অনুষদ ছাত্র সমিতির সামনে থেকে। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা আব্দুল জব্বার মোড়সংলগ্ন রেললাইনে গিয়ে প্রথম দফায় হাওর এক্সপ্রেস আটকান। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় অবরোধ প্রত্যাহার করলেও, আবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মহুয়া কমিউটার ট্রেন অবরোধ করে রাখেন তারা।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা কৃষিবিদদের অধিকার সুরক্ষায় তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলোঃ
১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১০ম গ্রেডের পদগুলো কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ বাতিল করতে হবে।
৩. কৃষি বা কৃষিসংক্রান্ত বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন ছাড়া কেউ ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ বলেন, আমাদের এই তিন দফা দাবি একেবারেই যৌক্তিক। কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষায় এই দাবিগুলো নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।