
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম দেশে নিষিদ্ধ থাকলেও বিদেশে দলটির গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন মালয়েশিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন। শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আছে, তাই দেশের বাইরে তাদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কলকাতার একটি বাণিজ্যিক ভবনে আওয়ামী লীগের একটি ‘পার্টি অফিস’ চালু হয়েছে।
এ বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। গেজেটে প্রকাশিত নির্দেশনায় জানানো হয়, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে প্রকাশনা, গণমাধ্যমে প্রচার, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম, মিছিল, সভা, সমাবেশ এবং সম্মেলন আয়োজন।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সাইবার প্ল্যাটফর্মসহ আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে। সে সময় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সুরক্ষা এবং ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ও বাদীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।