
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার বরদ্বেশ্বরী বাজার ও রুহিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে থানা বিএনপির আয়োজনে ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “একটি দেশ তখনই উন্নয়নের পথে যেতে পারে, যখন জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকে। জনগণ চায়, আমরা উন্নতি করব। কিন্তু জনগণের মধ্যে যদি সারাক্ষণ দ্বন্দ্ব, বিবাদ, ফেতনা ও ঝগড়া থাকে, তাহলে কি উন্নতি সম্ভব? গণ-অভ্যুত্থানের সময় আমরা ভেবেছিলাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা যাবে। কিন্তু কিছু দল বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। আমি পরিষ্কার করে বলছি, আজ জামায়াতে ইসলামী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। সমস্যা তৈরি করে গণতন্ত্র বা নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা জনগণ কখনও বরদাশত করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “১৫ বছর আমরা ভোট দিতে পারিনি। এখন ভোটের সুযোগ এসেছে। দেশের উন্নতির জন্য আমরা আমাদের ভোট দেব। যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, কৃষক ভাইদের সমস্যা বীজ, সার, পানি—সমাধান করব। তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করব।”
তিনি রুহিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “রুহিয়া থানা হয়েছে, কিন্তু উপজেলা হয়নি। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রথম কাজ হবে রুহিয়াকে উপজেলায় উন্নীত করা।”
ফখরুল একটি রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করে বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল যাকে দেশের মানুষ কখনো সঠিক পথে পায়নি। দেশের মানুষ পাকিস্তানের বিরোধিতায় আন্দোলন করলেও তারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ছিল। যারা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর পক্ষে কখনো ছিল না, তাদের কি আমরা সমর্থন করতে পারি?”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, আব্দুল হালিম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক এবং রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আবদুল জব্বার প্রমুখ।