
বাহরাইনের একটি কাবাডি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের জাতীয় দলের খেলোয়াড় উবাইদুল্লাহ রাজপুত ভারতের জার্সি পড়ে খেলেছেন এবং হাতে ভারতের পতাকা ধরার দৃশ্য দেখা গেছে। এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। পাকিস্তান কাবাডি ফেডারেশন (পিকেএফ) আগামী ২৭ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠকের তলব করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঘোষণা দেয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উবাইদুল্লাহ রাজপুত পাকিস্তান জাতীয় দলের খেলোয়াড় হলেও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ওই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান ফেডারেশনের অনুমতি ছাড়াই খেলেছেন। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের ১৬ খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের কেউ ফেডারেশন থেকে অনাপত্তিপত্র পাননি।
পিকেএফ সেক্রেটারি রানা সারওয়ার বলেন, “নিজেরা নিজেরা দল বানিয়ে পাকিস্তানের নাম দিয়ে ওই টুর্নামেন্টে খেলেছে অভিযুক্তরা। দেশ কিংবা ফেডারেশন কোনো জায়গা থেকেই অনুমতি নেওয়া হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “একজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ভারতের হয়ে খেলেছে এবং তাদের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছে। বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করা হবে এবং শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাকিস্তানের সম্মান ডুবিয়ে এমন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন দেশের ক্লাব একসঙ্গে খেলতে পারে, কিন্তু বিদেশি একটি দলের হয়ে খেলা এবং তাদের পতাকা উড়ানো অপরাধতুল্য।”
এদিকে, উবাইদুল্লাহ রাজপুত নিজেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানান, “বাইরাইনে প্রতি বছরই টুর্নামেন্টটি হয় এবং এর আগেও সেখানে অংশ নিয়েছিলাম। আগে যে দলের হয়ে খেলেছিলাম, তারা এবার আমাকে ডাকেনি। অন্য একটি দল আমাকে আমন্ত্রণ জানায়, তাই আমি অংশ নিই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানতাম না দলের নাম ভারত ও পাকিস্তান হবে। মাঠে প্রবেশের সময় বন্ধুরা জানান যে আমি ভারতের হয়ে খেলছি। তখন আমি ধারাভাষ্যকারকে অনুরোধ করি যেন ঘোষণা করা হয় এটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নয়, বরং একটি স্থানীয় কাপ। মাঠে ভারতের পতাকা উড়ানো ও স্লোগান উঠার বিষয়টি আমি অনুমান করিনি। এটি বিশ্বকাপ নয়। বিশ্বকাপে হলে অবশ্যই পাকিস্তানের হয়ে খেলতাম, কারণ আমি একজন পাকিস্তানি।”
উল্লেখ্য, বাহরাইনে এই টুর্নামেন্টটি ছিল তৃতীয় জিসিসি কাবাডি কাপ, যা ১৬ ডিসেম্বর সালমাবাদে গালফ এয়ার ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাহরাইন, কুয়েত, দুবাই ও ওমানের দল অংশ নেয়।