
নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার চারজন কৃতি নারী পেলেন রোকেয়া পদক। তাদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা ঋতুপর্ণা চাকমা।
৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সমারোহ অনুষ্ঠানে চারজন কৃতি নারীর হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। ঋতুপর্ণা এই সঙ্গী নারীদের মধ্যে নিজেকে দেখতে পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তিনি মনে করেন, এই সম্মান পেয়েই তার দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃতি নারীদের এই স্বীকৃতি জানানো হয়। এবারের আয়োজনের নারী জাগরণ (ক্রীড়া) শাখায় ঋতুপর্ণা পদক অর্জন করেছেন।
ঋতুপর্ণা পদক পাওয়ার পর বলেন, “সব খেলোয়াড় দেশের জন্য লড়েন। সব খেলোয়াড়ই কষ্ট করে উঠে আসেন। এমন একজন ব্যক্তির নামে এমন পদক পাওয়ার পর দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বেড়েছে আমার। এই পদকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও সমাজকে আরও কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব।” তিনি আরও যোগ করেন, “ক্রীড়াবিদেরা দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করেন। একজন নারী ক্রীড়াবিদকে দেখে সমাজের আরও অনেকেই খেলাধুলায় ও নানা কাজে অনুপ্রাণিত হয়। ক্রীড়াঙ্গনে আমার মতো আরও অনেক নারী ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। যারা আগামীতে এই পদক পেলে তারাও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হবেন।”
ঋতুপর্ণার এই অর্জনকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, “নারী ফুটবলে ইতিহাস সৃষ্টিকারী ঋতুপর্ণা চাকমাকে অভিনন্দন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন বেগম রোকেয়া পদক-২০২৫। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তার এই অর্জনে অত্যন্ত গর্বিত। স্বপ্ন থেকে সংগ্রাম আর সংগ্রাম থেকে সাফল্য, ঋতুপর্ণা চাকমার এই যাত্রায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সবসময় পাশে আছে।”
এ বছর রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন - নারীশিক্ষায় (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকারে নাবিলা ইদ্রিস এবং নারী জাগরণে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা।
প্রতিবছরের মতো এবারও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রোকেয়া দিবস পালন করছে।