
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ফুটবল ভক্তদের উন্মাদনা কতটা, তা কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই স্পষ্ট। লাতিন বাংলা ফুটবল টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার অ্যাথলেটিকো চার্লোন এবং বাংলাদেশের রেড গ্রীন ফিউচার স্টারস দলের ম্যাচেও এই উন্মাদনা মিশ্রিত হয়। তবে খেলার রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়া বাংলাদেশের মাসুদ রানারের গোল অফসাইড বলে বাতিল করায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। একইভাবে দলের দ্বিতীয় গোলও বাতিল করা হয়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার এলান সারমেন্তো গোল করে ১-১ সমতা আনে।
গতকালকের ম্যাচে দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং লালকার্ড দেখানো হয়। বাংলাদেশের ইহসান হাবিব রিদওয়ান ও আর্জেন্টিনার মার্টিনস ও ডেভিড সেই সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন। আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা এই আচরণকে অশোভনীয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং রেফারির সিদ্ধান্ত ও বাতিল হওয়া গোল নিয়ে সমালোচনা করেছেন। দর্শকরাও গ্যালারিতে রেফারির সমালোচনা করেছেন।
আগের ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে রেড গ্রীন ফিউচার স্টারের ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল বেশি, কারণ অন্যান্য গ্যালারি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে গতকাল দর্শক সংখ্যা কম ছিল। ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাও আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করেছেন। খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়, কিন্তু ১৫ মিনিট দেরিতে মাঠে নামেন খেলোয়াড়রা।
দুই দিন ধরে রেড গ্রীন ফিউচার স্টারের ফুটবলাররা দাবি করে আসছিলেন যে তারা টুর্নামেন্টে খেলছেন, কিন্তু পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নীরব ছিল। মাঠে আয়োজকরা পরে ১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও খেলোয়াড়রা আরও ক্ষুব্ধ হন। পরবর্তীতে খেলোয়াড়রা বিনা পারিশ্রমিকে খেলার শর্তে ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে ওয়ার্মআপ শুরু করেন। তবু রেফারি না আসায় আবার ডাগআউটে ফিরে আসতে হয়।
মাঠে এই ধরণের বিশৃঙ্খল আয়োজন এবং বাফুফের নীরবতা ফুটবলারদের ক্ষোভ বাড়িয়েছে। খেলোয়াড়রা শেষে রেফারির উপস্থিতিতে মাঠে নামলেও বিন্যস্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের অভাব ছিল।
আগামী ১১ ডিসেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মুখোমুখি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।