
আরাফাত রহমান কোকো স্মরণে চীনে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর প্রীতি ম্যাচ। উক্ত ম্যাচে গুয়াংজু একাদশ এবং শেনজেন একাদশ এই দুইটি দল অংশ নেয়। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টটি চীনের গুয়াংজু শহরে অবস্থিত ফুসান খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের বৃহত্তর চীন শাখার নেতা-কর্মীরা।খেলার শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় শেনজেন একাদশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৮৬ রান করে গুয়াংজু একাদশ। জবাবে ৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শেনজেন একাদশ। টুর্নামেন্টে ১ উইকেট এবং ২০ রান নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন মো. আবির। টুর্নামেন্টের স্পন্সর ছিল রাঁধুনি রেস্টুরেন্ট এবং স্টার ড্রাগন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসিফ হক রুপু, মো. রুহুল আমিন, মাসুদ আহমেদ, মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন, হোসাইন মোহাম্মদ সাখাওয়াত, মো. ওয়ালী উল্লাহ, শেখ মাহবুবুর রশিদ, মো. নাদিম আহমেদ, মোহাম্মদ আহমদ আলী মৃধা, মনোয়ার মো. বায়েজিদ, সালাউদ্দিন রিক্তাসহ আরও অনেক।আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ চীন শাখার আহ্বায়ক আসিফ হক রুপু বলেন, এই টুর্নামেন্টটি শুধু ক্রীড়ামূলক প্রতিযোগিতা নয়, এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি এবং একতা বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। আমরা এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন বলেন, এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক ছাদের নিচে আনার যে প্রচেষ্টা, তা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক হিসেবে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি খেলাধুলা একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিয়ে একত্রিত করে।

মালয়েশিয়ায় দুইদিন ব্যাপী হাইকমিশনের কনস্যুলার সেবা প্রদান
বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর মালয়েশিয়ার উদ্যোগে জোহর বাহারু শহরের অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস হতে দুই দিন ব্যাপী (২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এ সময়ে জোহর বাহারু শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্টের আবেদনগ্রহণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট সম্পন্নকরণ, এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়। মোবাইল কনস্যুলার সেবা প্রদানের সময় ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান প্রণব কুমার ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত পাসপোর্ট, ভিসা ও অন্যান্য সেবা সংক্রান্ত আউটসোর্সিং কোম্পানি ইএসকেএল-এর মার্কেটিং ম্যানেজার আরমান পারভেজ মুরাদ ও অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক সেবা প্রার্থী প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুর কনস্যুলার সেবা প্রদান কালে অগ্রণী রেমিটেন্স হাউস এর সিইওসহ সকলকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানায়।

রেসিডেন্স পারমিট না থাকলে ইতালিতে সিম কিনতে পারবেন না অনিয়মিত অভিবাসীরা
বৈধ রেসিডেন্স পারমিট না থাকলে ইতালিতে এখন থেকে সিমকার্ড কেনা যাবে না। দেশটির আইনসভা গতকাল টেলিকমিউনিকেশন কোডের এই সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে।সংশোধিত আইন অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থী এবং অনিয়মিত অভিবাসীদের যেহেতু বৈধ ‘রেসিডেন্স পারমিট’ থাকে না সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষে ‘সিম কার্ড’ কেনা সম্ভব হবে না। এমন সিদ্ধান্তে হাজার হাজার মানুষ টেলিফোন নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। নানা প্রশাসনিক কাজ এবংনিজ পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে একজন অভিবাসীর কাছে একটি সিম কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইটালির অতি-ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির সরকার নতুন আইনের সংশোধনীতে সমর্থন দিয়েছে।দেশটির দৈনিক লা রিপাবলিকা জানিয়েছে, সংশোধিত আইনে মোবাইল অপারেটরদের বলা হয়েছে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত নয় এমন দেশগুলোর নাগরিকদের’ কাছে সিম বিক্রির সময় তার যেন বৈধ রেসিডেন্স পারমিট যাচাই করে। কোনো বিক্রেতা এই আইন প্রয়োগ না করলে তাদের ব্যবসা পাঁচ থেকে ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে বলে আইনে উল্লেখ করা রয়েছে।এই পদক্ষেপের মাধ্যমে যেসব বিদেশি দেশটিতে অনিয়মিত অবস্থায় বসবাস করছেন তাদের মোবাইল নম্বর পেতে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞার অধীনে আনা হয়েছে বলে নিন্দা জানিয়েছে এনজিওগুলো। ইতালিতে আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়াকরণের সময় কয়েক মাস থেকে বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে অভিবাসীদের কাছে রেসিডেন্স পারমিট থাকে না। যার ফলে এই দীর্ঘ সময় মধ্যে তারা চাইলেও সিম কিনতে পারবেন না।সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

জার্মানিতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মিলনমেলা
ব্যাপক আনন্দ ও উৎসাহের মধ্য দিয়ে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জার্মানির বায়ার্ন অঙ্গরাজ্যের রাজধানী মিউনিখে হয়ে গেল দেশটিতে বসবাসরত ও গবেষণায় নিয়োজিত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মিলনমেলা ডাস সুজামেনট্রেফেন। এ উপলক্ষে শহরের একটি মিলনায়তনে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অ্যার্জটে আউস বাংলাদেশে’র আয়োজনে বর্ণাঢ্য এ মিলনমেলা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল দেশের গান, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য আর মজাদার দেশীয় খাবার। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে আয়োজকদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- ডা. জুবাইদা লায়লা, ডা. সুমাইয়া মোস্তাফা, ডা. শামিনা নাসরিন এবং ডা. শরিফা শারমিনসহ অনেকে। এসময় দেশের মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশ ও দেশের মানুষ এবং প্রবাসীদের কল্যাণে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে এগিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বক্তারা। জার্মানির নানা প্রদেশ থেকে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও সর্বস্তরের প্রবাসীরা এ আয়োজনে অংশ নেন।

কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালুর দাবি
করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়া কুয়েত-চট্টগ্রামের ফ্লাইট আবারও চালুর দাবিতে বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসীরা। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাংলাদেশি প্রবাসীরা কুয়েতের বাংলাদেশ বিমানের অফিসে কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বকর ছিদ্দিকির সঙ্গে মতবিনিময় করেন ও বিমানের এমডি বরাবর স্মারকলিপি দেন।মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, মো. শহীদুল আলম চৌধুরী, মো. মহিউদ্দিন, মো. আলী হোসেন, আবদুল কাদের, মামুনুর রশিদ, মো. শাহাদাৎ হোসেন।বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমানের ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দিয়ে কুয়েতের কান্ট্রি ম্যানেজার বলেন, কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে ফ্লাইট চালু করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।প্রবাসী প্রতিনিধিরা বলেন, এ দাবি প্রবাসীদের। ফ্লাইটটি চালু হলে চট্টগ্রামসহ তিন পার্বত্য জেলার প্রবাসীরা উপকৃত হবেন।

দ্রুত সময়ে ওয়ার্ক ভিসা সমস্যা সমাধানের নিশ্চয়তা ইতালির
দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজের ভিসা সমস্যার সমাধানে নিশ্চয়তা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো। পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই নিশ্চয়তা দেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।এতে উল্লেখ করা হয়, পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো।বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আগামী দিনে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে অভিবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ইতালির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে অভিবাসন সহযোগিতা আরও গভীর করার জন্য ইতালির আগ্রহ প্রকাশ করেন।পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ইতালির রাষ্ট্রদূতের প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত আলেসান্দ্রো দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজের ভিসার সমস্যার সমাধান, অনিয়মিত অভিবাসন রোধে এবং বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে আইন অনুযায়ী দক্ষ কর্মী নিতে ইতালির আগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পররাষ্ট্র সচিব ইতালির রাষ্ট্রদূতকে পেন্ডিং ভিসার আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার অনুরোধ জানান। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।ইতালীয় রাষ্ট্রদূত জানান, মূলত সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্কের অবৈধ হস্তক্ষেপ, কাজের ভিসা ব্যবস্থায় ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা, জাল নথি জমা দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধির কারণে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাজের ভিসার আবেদন এখন দূতাবাসে মুলতবি রয়েছে।পররাষ্ট্র সচিব ইতালির রাষ্ট্রদূতকে অসামান্য কাজের ভিসার আবেদন সমাধানের জন্য আন্তরিক এবং বাস্তব প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। উভয়পক্ষই আশা করছে যে দক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থানের আইনি পথ সহজতর ও অনিয়মিত অভিবাসন রোধে দুই সরকারের মধ্যে প্রস্তাবিত এমওইউ শিগগিরই শেষ হবে।

দুবাইয়ে ৬০ দেশের নারী হাফেজদের কোরআন প্রতিযোগিতা
দুবাইয়ে শুরু হয়েছে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা। মুসলিম মেয়েদেরকে পবিত্র কোরআন মুখস্থের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছে হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। শুধুমাত্র নারী হাফেজদের অংশগ্রহণে শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ৮ম আসরে বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ সেরা ১০ নারী হাফেজকে পুরস্কার দেওয়া হবে।প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাফেজ মাইমুনা বিনতে মনিরুজ্জামান (১৩)। তিনি মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর প্রথম রাউন্ডে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। তার গ্রুপের অন্য দুই প্রতিযোগী হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের উজরা আবদুর রহীম ও মোজাম্বিকের উম্মে সুলাইম আবদুস সাত্তার।হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে মাইমুনা ইরানে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এই মাদরাসার অপর শিক্ষার্থী নুসাইবা হক ফাইজা ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থানে অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন।দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার মিডিয়া প্রধান আহমেদ আল জাহিদ জানিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মামরেজ এলাকায় অবস্থিত অফ কালচার অ্যান্ড সায়েন্স মিলনায়তনে চলবে। একাধিক প্ল্যাটফর্ম এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রতিযোগিতা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, শাইখা ফাতিমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা সারাবিশ্বে পবিত্র কোরআনের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।দুবাই টাইমসের খবরে বলা হয়, প্রতিযোগিতায় মধ্যআফ্রিকার খাদিজা আব্দুল করিম, মায়ানমারের ভিও থিরি, ঘানার জয়নাব আবদুর রহমান, সোমালিয়ার আয়শা মাহমুদ, টোগোর ক্যামিলো হেদায়া কোরা, মালির আসমা ডৌকোরি, চাদের উম্মে সেলিম অ্যাডাম, বুরকিনা ফাসোর খাওলা সিসাও, ফিলিপাইনের ফাহিমা আবদুল্লাহ, ইরিত্রিয়ার সারাহ ইউসুফ, রুয়ান্ডার মদিনা নুমুতোনি, তিউনিসিয়ার আসমা বিনতে আবদুর রাজ্জাক শেলবি, নাইজেরিয়ার মরিয়ম হাবিব, কেনিয়ার ফাতি হাসান রশিদ, ফ্রান্সের সামিয়া হাদ্দাদ, ইন্দোনেশিয়ার সেলভি সালসবিলেহ, ক্যামেরুনের খাদিজা আহমেদ, দক্ষিণ আফ্রিকার আয়েশা বিলাল জাখোর, সিরিয়ার আলা কোশেহ, ইতালির আলা বাহিরি, ইথিওপিয়ার ফেরদৌস খলিল জামে, ইউনাইটেড রিপাবলিক অব কমোরোস থেকে রাবিয়া মাতার ইউয়ান এবং আইভরি কোস্টের মরিয়ম কিয়া অংশ নিয়েছেন।তিউনিসিয়ার প্রতিনিধি আসমা শালাবি বলেন, আমি ছয় বছর বয়সে পবিত্র কোরআন হেফজ করা শুরু করি, কিন্তু বিরতির কারণে উনিশ বছর বয়সে শেষ করি। দুবাই কোরআন প্রতিযোগিতায় আমি দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করছি।ফ্রান্সের প্রতিনিধি মরক্কো বংশোদ্ভূত সোমিয়া হাদ্দাদ। তিনি সাত বছর বয়সে পবিত্র কোরআ ন হেফজ করা শুরু করেন এবং এক বছরের মধ্যে তা শেষ করেন। হাদ্দাদ এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন।

মালয়েশিয়ায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি কর্মীর বকেয়া বেতন আদায়ে উদ্যোগ হাইকমিশনের
মালয়েশিয়ার কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং নামে একটি কোম্পানিতে কর্মরত ২০০ জন বাংলাদেশি কর্মীর বকেয়া বেতন আদায়ে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। ইতোমধ্যেই আংশিক বেতন আদায় করা গেছে।এর আগে, ৩০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির বাইরে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করায় উল্টো হুমকি ধমকি দেয়া হয় কর্মীদের। সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চান ভুক্তভোগী কর্মীরা। এই সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর আমলে নেয় হাইকমিশন।২ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কর্মীরা হাইকমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের আলোকে হাইকমিশন দেশটির শ্রম বিভাগ ও কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালায় এবং শ্রম বিভাগ বিষয়টি নজরে এনে তদন্ত শুরু করে।শুক্রবার দেশটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, বকেয়া বেতন আদায়ের লক্ষ্যে কোম্পানির প্রতিনিধি ও বাংলাদেশি কর্মীদের পক্ষ থেকে নয়জন কর্মীকে নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকমিশনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উভয়পক্ষের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনে সমস্যার কারণ ও তা সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নির্ধারণ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বকেয়া বেতনের আংশিক পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার কোম্পানির সভা কক্ষে হাইকমিশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বকেয়া বেতনের আংশিক হিসেবে ৩ লাখ রিঙ্গিত দেয়া হয়।এ সময় কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কোম্পানির চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানির পক্ষ থেকে অবশিষ্ট বকেয়া বেতন হাইকমিশনে প্রদত্ত প্রতিশ্রুত সময়ে পরিশোধ করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
.jpeg)
অবসরভাতাসহ ১১ দাবি প্রবাসীদের
ঢাকা: দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাসে থেকে দেশে ফেরত আসার পর যুক্তিসঙ্গত অবসরভাতা নিশ্চিতসহ ১১ দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এসব দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাসুদ নামের এক প্রবাসী। তিনি বলেন, প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুই কোটির বেশি লোক বর্তমানে প্রবাসে অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরত। প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রেমিট্যান্স হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থার টেকসই উন্নয়নে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে বিধায় তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হয়। তিনি আরও বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প উৎপাদন, স্কুল-মাদরাসা, মসজিদ-হাসপাতাল স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা এবং ব্যবস্থাপনায় এবং নাগরিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে ও প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্রবাসী মাসুদ বলেন, প্রবাসীরা নিজেদের পরিবার-পরিজন ছেড়ে প্রবাসে থেকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সার্বিক ক্ষেত্রে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তারা এবং তাদের পরিবার নানাভাবে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে এবং যথাযোগ্য মূল্যায়ন পাচ্ছে না। প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা অভিভাবকহীনভাবে দেশে থাকলেও তাদের দেখার কেউ নেই। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো দূরীকরণের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা এবং সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য প্রবাসীরা বাংলাদেশ সরকারের নিকট কিছু যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করছে। প্রবাসীদের যত বেশি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে তত বেশি রেমিট্যান্স আসবে দেশে। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ সচল থাকলে দেশের অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি ঘটবে। ১১ দফা দাবি ১। ১৫ বছর প্রবাসে থেকে দেশে চলে এলে যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসরভাতা দিতে হবে। ২। প্রবাসীরা প্রবাসে কিংবা ছুটিতে দেশে এসে কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করলে বা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে। ৩। কোনো প্রবাসী প্রবাসে মারা গেলে ওই প্রবাসীর লাশ রাষ্ট্রীয় খরচে এবং ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত আনতে হবে এবং স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে। 8। প্রত্যেক প্রবাসীকে প্রবাসী পরিবার নামে বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। ওই স্মার্ট কার্ড দিয়ে বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে প্রতিটি কাজে যেমন- মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি করপোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে। ৫। শুধুমাত্র পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীদের সহজ শর্তে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংক থেকে বিনা সুদে বা সহজ শর্তে গৃহঋণ, ব্যবসায়িক ঋণসহ অন্যান্য ঋণ দিতে হবে এবং কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ গমনে আগ্রহী ব্যক্তিকেও এসব ব্যাংক থেকে ঋণ দিতে হবে। ৬। কোনো কারণে বাংলাদেশে কোনো প্রবাসীর নামে কোনো ধরনের মামলা-মোকদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধি-বিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন সময় দেওয়া যেতে পারে। ৭। প্রবাসে কোনো প্রবাসীর কোনো রকম সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করতে হবে। বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালন বা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। ৮। অসুস্থতার কারণে কোন প্রবাসী দেশে এলে বাংলাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। ৯। প্রতিটি প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা ও কর্মপন্থা তৈরি করে তা যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেবেন। ১০। এয়ারপোর্টে কোনো ধরনের লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটি খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে এবং লাগেজের ভেতরের কোনো মালামাল চুরি হলে প্রতি কেজির মূল্য গড়ে ২০ হাজার টাকা করে বিমান কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে দিতে হবে। এয়ারপোর্টের ট্রলি এয়ারপোর্ট পার্কিং এরিয়ায় নেওয়ার সুবিধা করে দিতে হবে। ১১। অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশযাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা ইত্যাদি নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবাসীরা বাংলাদেশে আসা এবং বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতায় পড়েন, সেসবের স্থায়ী নিরসন করতে হবে এবং প্রবাসীদের বিদেশে গমনাগমন সহজ ও সুশৃঙ্খল করার কার্যকর বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
.jpeg)
আগামীকাল থেকে আমিরাতে সাধারণ ক্ষমার আওতায় অবৈধ প্রবাসীরা
ইউএই প্রতিনিধি : সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার কর্তৃক ঘোষিত এমিনিস্টি কার্যক্রম বা (সাধারণ ক্ষমার সুযোগ) ১ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ প্রদান শুরু হবে। এই সাধারণ ক্ষমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসের জন্য কার্যকর থাকবে। ভিসাবিহীন অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রবাসীরা এই সময়ের মধ্যে বিনা জরিমানা ও বিনা জেল দেওয়া ছাড়াই তাদের অবস্থা বৈধকরণ অথবা দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।যারা ইতিমধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ করে অবৈধভাবে বসবাস করছেন, তাদের সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নিতে হবে। দুবাইয়ে বসবাসকারীদের আল-আবীর ইমিগ্রেশনে এবং অন্যান্য আমিরাতের ভিসাধারীদের সংশ্লিষ্ট প্রদেশের ইমিগ্রেশনে যেতে হবে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউএই সরকার অনুমোদিত টাইপিং তাসহিল/আমের সেন্টার ব্যবহার করতে হবে। দেশে ফেরার জন্য এক্সিট পারমিট নিতে হলে মূল পাসপোর্ট ও দূতাবাস/কনস্যুলেট থেকে ট্রাভেল পারমিট প্রয়োজন হবে।অবৈধভাবে প্রবেশ করা ব্যক্তিরা পাসপোর্ট এবং পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য দিয়ে কনস্যুলেট/দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। এক্সিট পারমিটের মেয়াদ ১৪ দিন।জরিমানার ছাড় এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ফি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।যারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন, তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/ দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন। ভিসা নিয়মিত করা ও দেশে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এক্সিট পারমিট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে। এক্সিট পারমিট প্রাপ্তির পর ১৪ দিন তার মেয়াদ থাকবে।বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে বায়োমেট্রিক্স স্ক্যান করার পর এক্সিট পারমিট ইস্যু করা হবে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে ভিসা রেকর্ড চেক করার পর কেউ যদি পলাতক/তা’মিম (নিয়োগকর্তা হতে পলায়ন) হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে যাওযার জন্য এক্সিট পারমিট অথবা ভিসা নিয়মিত করার জন্য পুলিশ রিপোর্ট লাগবে।তবে সাধারণ ক্ষমা চলাকালীন এক্সিট পারমিট নিয়ে দেশে গেলে কোনো প্রকার ব্যান/নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না। সাধারণ ক্ষমার সুবিধা প্রাপ্তির জন্য আদালত থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে।স্পন্সর কর্তৃক ইমিগ্রেশনে জমা দেওয়া পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার বিষয়ে তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করা হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট হস্তান্তর করবে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কিছু সংখ্যক পাসপোর্ট কনস্যুলেটে/দূতাবাসে হস্তান্তর করেছে যা কনস্যুলেটে/দূতাবাসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে।সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশনে গিয়ে পাসপোর্ট ও ভিসা/আইডি কপি দাখিল করে প্রসেসিং ফি প্রদানের মাধ্যমে জরিমানা মওকুফ করা হবে এবং ছয় মাস মেয়াদি জব সিকার্স ভিসা ইস্যু করা হবে।অবৈধপথে আমিরাতে যারা প্রবেশ করেছে তারা পাসপোর্ট/বাংলাদেশি হিসেবে কোন প্রমাণক/সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসার প্রমাণক ও পূর্ববর্তী ভিসার তথ্য প্রদানপূর্বক কনস্যুলেট/দূতাবাস হতে ট্রাভেল পারমিট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ইমিগ্রেশন হতে এক্সিট পারমিট নিতে পারবেন।

ইতালিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আনন্দ ভ্রমণ
প্রবাসজীবনের কর্ম-ব্যস্ততার ফাঁকে আনন্দ বিনোদনের প্রত্যাশায় সাগর ভ্রমণ ও বনোভোজন ইতালির প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ এসোসিয়েশন মদেনা শাখার উদ্যাগে এই সাগর ভ্রমণ ও বনোভোজন আয়োজন করা হয় । এ আনন্দ ভ্রমণে মদেনায় বসবাসকারী দেড় শতাধিক প্রবাসীরা অংশ গ্রহনা করেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৭ টায় মদেনা বাসস্ট্যান্ডে থেকে চেছেনাতিক র উদ্দেশ্য দুটি বাস রওয়ানা হয়। চেছেনাতিক র ঐতিহাসিক দর্শনীয়স্হান গুলো পরিদর্শন শেষে সাগর ভ্রমণে অংশ নেন প্রবাসীরা পরে সাগরের সুন্দর্য উপভোগ করে অনেক সাঁতারে যোগ দেন। ভ্রমণ শেষে প্রবাসীরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে আয়োজন করেন লটারীর পরবর্তীতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করে ভ্রমণ সমাপ্ত করেন। ভ্রমণের অংশ নেওয়া সকল প্রবাসী পুরুষ মহিলারা বাংলাদেশ এসোসিয়েশন মদেনার সকল নেতৃত্ব বূন্দদের ধন্যবাদ ও কূতজ্ঞতা জানান। সভাপতি মাসুদুল আমিন লিটন জানান প্রতি বছরের ন্যায় আমরা এ বছরও দুটি ভ্রমণ ও বনোভোজন সফল ভাবে প্রবাসীদের সহযোগিতায় সম্পন্ন করেছি আগামীতে আমরা বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গ্রিল পার্টি র আয়োজন করব আশাবাদী প্রবাসীরা অংশ গ্রহন করবেন। ভ্রমণে সার্বিক সহযোগিতা ও দায়িত্বে ছিলেন ছিলেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুরুল আলম আজাদ, উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস, সভাপতি মাসুদুল আমিন লিটন সিনিয়র সহ সভাপতি জামাল মিয়া সহ সভাপতি প্রিন্স মন্ডল সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মুন্সি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন হোসাইনসহ এসোসিয়েশনের সকল পর্যায়ের নেতূবূন্দ সহ প্রায় দেড় শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ইতালির পৌর কাউন্সিলর পদে বাংলাদেশি তরুণ, সংবর্ধনা দিল বাংলা কমিউনিটি
ইতালির ভিচেন্সা প্রভিন্সের Montecchio Maggiore (VI) ২০২৪ এর নির্বাচনে Partito Democratico (PD) দল থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ ( মিয়া এমডি অলি)।ভিচেন্সা শহরের মন্তেক্কিও মাজ্জোরে ঐ পৌরসভার নির্বাচনে পিডি দল থেকে ২১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে ভিসেন্সায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তার জয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।শনিবার (১০ আগস্ট ) কাউন্সিলর ( মিয়া এমডি অলি ) কে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্টানের আযোজন করা হয়।সংবর্ধনা অনুষ্টানে আনফার আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় মেয়র সিলভিও ( পারিসে )। ( মিয়া এমডি অলীকে ) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলা কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সহ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। (মিয়া এমডি অলির) জয়ে তারা বেশ উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত।মিয়া এমডি অলি এই পৌরসভার প্রথম বাংলাদেশি কাউন্সিলর। তার দেশের বাড়ি সিলেটের দক্ষিন সুরমা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের কাদিপুর বড় গ্রামে।তিনি ছোট বেলা থেকেই ইতালিতে বসবাস করে আসছেন। মিয়া এমডি অলি পড়ালেখা শেষ করে নিজস্ব ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। পাশাপাশি ইতালির স্কুল ধারার রাজনীতি এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন।কাউন্সিলর হিসেবে জয়লাভ করে (মিয়া এমডি অলি) তার প্রধান লক্ষ্য ইতালি ও বাংলাদেশি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। তিনি সবাইকে একটি সুন্দর শহর উপহার দিতে চান।

এডিনবারা পিএইচসি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আয়োজনে বাংলাদেশিদের আনন্দ ভ্রমণ
যুক্তরাজ্য থেকে তুহিন মাহামুদ : স্কটল্যান্ডের রাজধানী পর্যটক শহর খ্যাত এডিনবারায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংগঠন "এডিনবারা পিএইচসি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের" উদ্যেগে সমাপ্ত হলো আনন্দ ভ্রমণ- ২০২৪।গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকাল নয়টায় দুটি ট্যুরিষ্ট বাসযোগে প্রায় ১৫০ জন ভ্রমণ পিয়াসীদের নিয়ে এডিনবারা থেকে ইংল্যান্ডের দর্শনীয় শহরলেক ডিষ্ট্রিকের উন্ডের মেরিতে পৌঁছায়। যাত্রা পথে নানা বিনোদন মূলক আয়োজনের মধ্যে ছিলো ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের কোরআন তেলাওয়াত, ছড়া, সংগীত পরিবেশন সহ কৌতুক, গান সহ নানা আয়োজন। দু'পাশে উঁচু-নিচু পাহাড়বেষ্টিত সবুজ অরণ্যের ভীড় ঠেলে পিচঢালা কালো সড়ক পথ বেয়ে অবশেষে লেকের পাড়ে এসে পৌছায় বাস দুটি। নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোর সকলের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক।বিধাতার অপার কৃপায় যেন সোনালী রোদের কণা গুলো অঝোরে ঝরছে আরামদায়ক তপ্ততার পরশে দর্শণার্থীদের শরীরে। দুপুরে বাঙ্গালী খাবার পরিবেশন যেন আরো উৎফুল্লতা বয়ে এনেছে সকলের মাঝে।মনোরম পরিবেশ আর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন আকৃষ্ট করেছে সকলকে।একঘেয়েমি জনজীবনের রেশ কাটাতে শহর থেকে দূরে লেক আর পাহাড়ের কোলে শান্তির পরশ নিতেই এ আয়োজন।এ যেন চৈত্রের খরতাপে চৌচির হওয়া মাটির বুকে এক পশলা বৃস্টির মতই এ আনন্দধারা সকলের অন্তুরজুড়ে। খাবার শেষে এবার লঞ্চ যোগে এক দ্বীপ থেকে অন্যদিপে ভ্রমণের এ আনন্দ যেন মনকে আরও সতেজ ও সজীব করে তুলেছে। অনেকদিন পর এ ধরনের আয়োজনে সকলেই আনন্দিত। আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ভ্রমণকারীরা বলেন, বাচ্চাদের মন বিকাশ ও যান্ত্রিক জীবনের মাঝে স্বস্হির ছোঁয়া পেতে এ ধরনের আয়োজন মাঝে-মধ্যে হওয়া দরকার। পরন্ত বিকালে ক্লান্ত দেহে এক এক করে সবাই বাসে এসে বসলো অবশেষে এবার শো শো করে বাস ছুটে চলছে এডিনবারার পথে।পথে যেতে যেতে রাফেল ড্র খেলায় বিজয়ীদের আর্কষনীয় পুরষ্কারে আনন্দ ভ্রমণ যে ষোল কলায় পূর্ণ হলো।আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই বাস এসে থামলো গন্তব্যে। ভ্রমণকে সুন্দর ও স্বার্থক করে তুলতে নিরলসভাবে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছেন আলমগীর কবির,শাহ ইমদাদুল হক বাবু,কবির হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন,আবুল কালাম,তুহিন মাহামুদ,ওবায়দুর রহমান,মোমেনুর রহমান সহ প্রমুখ।

স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত
তুহিন মাহামুদ স্কটল্যান্ড থেকে : স্বতঃস্ফূর্ত ও উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গে অনুষ্ঠিত হলো দ্বিতীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। লাল সবুজ ব্যাডমিন্টন স্পোর্টিং ক্লাব এডিনবার্গের আয়োজনে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে স্কটল্যান্ড এর বিভিন্ন শহর থেকে আগত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ১৬টি দল। গত ২৩শে জুন এডিনবার্গ একাডেমি স্কুল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় এই টুর্নামেন্ট। টো টুর্নামেন্টে বিজয়ী হন লাল সবুজ ক্লাবের সদস্য হুমায়ূন রশিদ এবং কালাম আজাদ। রানার আপ হন দ্বীন ইসলাম ও নান্নু মিয়া। ইডেনবার্গের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান টুর্নামেন্টকে স্পন্সর করেন। টুর্নামেন্ট আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন জনাব ছনার মিয়া ও আবুল হাসনাত। টুর্নামেন্ট উপভোগ করেন এডিনবার্গে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।উপস্হিত সকলে উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

ইতালিতে প্রবাসীদের পাসপোর্ট এ্যান্ড্রোলমেন্ট আ্যাপয়েন্টমেন্ট ভোগান্তির অবসান
তুহিন মাহামুদ, ইউরোপ থেকে : বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান ইতালির পাসপোর্ট এ্যান্ড্রোলমেন্ট অ্যাপয়েন্টমেন্টের ভোগান্তির অবসান হলো প্রবাসীদের বললেন কনসাল জেনারেল। কনস্যুলেট সূত্রে জানা যায়, এতে অগ্রধিকার পাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট, হারানো পাসপোর্ট, এবং সংশোধনী করণ পাসপোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান ইতালির মিশনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা পাসপোর্ট করার জন্য সাধারণ ভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারছিলোনা বিধায় মোটা অংকের বিনিময়ে প্রতারক চক্রের মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট সংগ্রহ চেষ্টা করে আসছিল প্রবাসীরা। খবরটি বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান ইতালির কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ এর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি প্রবাসীদের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে বলেন, আগামী আগস্ট থেকে শনি ও রবিবার মিলান বাসীর জন্য কনস্যুলেট সেবা প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।যার মাধ্যমে প্রবাসীদের এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও প্রতিদিন কনস্যুলেটে সরাসরি ভুক্তভোগীরা যোগাযোগ করে এবং ইমেইল এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সমাধান পেতে পারেন। বিশেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, হারানো পাসপোর্ট এবং সংশোধনের জন্য আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে পারেন বলে কনস্যুলেট সূত্রে জানানো হয়।তাই ভুক্তভোগীদের কোনো দালাল ও প্রতারক চক্রের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে অ্যাপার্টমেন্ট সংগ্রহ না করার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে গ্রাহকের তুলনায় সেবা প্রদান কারী কর্মকর্তা কম থাকায় প্রতিদিনই প্রবাসীদের চাপ ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় কর্মকর্তাদের।তাই কনস্যুলেটে জনবল বাড়ানোর দাবি জানান প্রবাসীরা। উল্লেখ্য গতকাল ২৪ জুন বিকালে কনস্যুলেট সভাকক্ষে মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওছার এবং উপদেষ্টা তুহিন মাহমুদ এর সাথে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ এর মতোবিনিময় কালে তিনি খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান। এসময়ের উপস্থিত ছিলেন ভাইস কনসাল তাজ উল ইসলাম এবং প্রেসক্লাব প্রচার সম্পাদক রতন হক। মিলানে কনস্যুলার সেবার মাধ্যমে লাঘব হবে প্রবাসীদের এ্যপয়েনমেন্ট সমস্যা এমনটি প্রত্যাশা সবার।

ইতালিতে যুবদলের দোয়া মাহফিল
ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি : ইতালিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মহফিল ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ২২ জুন) ইতালির ভিচেন্সা যুবদলের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাকির হোসেন গণি ( সভাপতি, ইতালি যুবদল), প্রধান বক্তা, ওমর ফারুক (সাধারণ সম্পাদক, ইতালি যুবদল)। অনুষ্ঠানে ইতালির ভিচেন্সা যুবদলের সভাপতি মাঈন উদ্দিন প্রিন্সের সভাপতিত্বে যৌথ সঞ্চলনা করেন একই সংগঠনের ভিচেন্সার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, সহসভাপতি আবু সায়েম। আগত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে কোরআন তেলাওয়াত জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে সভা পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করেন। আব্দুল কাইয়ুম কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় ও বক্তব্য রাখেন সাবেক সফল আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান সাহেব এবং ইতালি বিএনপি'র সুযোগ্য নেতৃত্ব কর্মী গড়ার কারিগর প্রাণপুরুষ ইতালি বিএনপি'র সম্মানিত বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিন সূচনাতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফরহাদ হোসেন সিনিয়র সহসভাপতি ভিছেন্সা যুবদল। এতে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের পাশাপাশি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রফিকুল ইসলাম মান্না উপদেষ্টা সদস্য, ভিছেন্সা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শিকদার মোহাম্মদ কায়েস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, ওবায়দুল্লাহ জাকির সম্মানিত প্রথম সদস্য ভিছেন্সা যুবদল, মামুন খান সাবেক ছাত্রনেতা, পলাশ হাওলাদার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সমাজসেবক, জেনোবা থেকে আগত যুবনেতা রিমন, পাদোভা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী মোহাম্মদ আরিফ, সাইফুল ইসলাম জুয়েল- সহ-সভাপতি ভিছেন্সা যুবদল, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমরান খান প্রধান উপদেষ্টা ভিছেন্সা যুবদল, সদস্য ভিছেন্সা বিএনপি। যুবদলের এই দোয়া ও আলোচনা সভায় ভিছেন্সা প্রবিন্সের বিভিন্ন কমিউনি থেকে দলে দলে লোকজন অংশগ্রহণ করেন উত্তরাঞ্চল থিয়েনে ও এসকিউ থেকে কাজী সাত্তার, সাইফুল ইসলাম জুয়েল মোহাম্মদ আরিফ এডভোকেট মনিরুজ্জামান ও জাহিদুল ইসলাম মিল্টন এর নেতৃত্বে ১১ টি গাড়ি বহরে প্রায় ৫৫ জন লোক নিয়ে সভায় উপস্থিত হন, আলতে অআরজিনিয়ানো, লুনিগো, মালো, ভিছেন্সা দলে দলে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এ সময় শহীদ জিয়ার আদর্শের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এডভোকেট মনিরুজ্জামান, জাফর আহমেদ, ওবায়দুল্লাহ জাকির, শিবলী সাদিক, মারুফ, রহমান জিয়া, পারভেজ আহমেদ মোঃ মিলন, শরীফ আহমেদ, মীর ইসমাইল, মাসুদ চৌধুরী, পলাশ হাওলাদার, পাদোবা বিএনপি'র সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল আকন্দ, যুবদল সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী, মোহাম্মদ রিপন, জাহিদ হোসেন, আনিসুর রহমান সহ প্রমুখ শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকগণ। যুবদল আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এবং যুবদল সভাপতি মঈন উদ্দিন প্রিন্স এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় অনুষ্ঠান শেষে সবার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড সম্পর্ক জোরদারে কাজ করছে ক্রস পার্টি গ্রুপ
ইউরোপ থেকে তুহিন মাহামুদ: স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গে Cross-Party Group on Banglsdesh এর আয়োজনে স্কটিশ পার্লামেন্টে ১৯ জুন বিকালে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ এবং স্কটল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা মূলক গুরুত্বপূর্ণ সভা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সিপিজি সদস্য ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে পরিচিতি হওয়া এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পরিচয় পর্বের মধ্যে দিয়ে এজেন্ডা ভিত্তিক আলোচনা শুরু হয়। স্কটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ফয়সাল আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এবং স্কটল্যান্ড দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদার করণের লক্ষে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার সৈয়াদা মুনা তাসনীম ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা,সংস্কৃতি,শিল্প,সাহিত্য ও বানিজ্য সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য উপস্হাপন করেন। শুরুতে তিনি ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী (এমএসপি) পূণরায় গ্রুপের আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন,"জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ৪,জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন সফরে যান এবং ১৯৭১ সালে মুল্যবোধের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এই ঐতিহাসিক সফর ছিল একটি বড় পদক্ষেপ এর সাধারণ মূল্যবোধের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্য এবং স্কটল্যান্ডের সাথে মহান বন্ধুত্বে গণতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ,সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা বিষয় সমূহের দিক গুলো কথা বলেছিলেন সেই ধারাবাহিকতায় বিগত ৫২ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। হাইকমিশনার আরোও উল্লেখ্য করেন যে,ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব (বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের রপ্তানি বেড়ে ৫০% এবং ৫৪% বৃদ্ধির সাথে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি - যুক্তরাজ্য তৃতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারী। এছাড়া নিরাপত্তা সহযোগিতা; প্রতিরক্ষা সংগ্রহ; প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত স্বার্থ সহ নানা বিষয়ে স্কটল্যান্ডের সাথে বিশেষ সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে উপস্থাপন করেছে। তিনি, এখন স্কটল্যান্ডের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে চান এবং স্কটল্যান্ডে বিনিয়োগের জন্য আরও উৎসাহিত করেন। হাইকমিনার আরোও উল্লেখ্য করেন যে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ফোকাস সহ পশ্চিমা দেশগুলিতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে। বিএইচসি (বাংলাদেশ হাই কমিশনার) বাংলাদেশে সরকারের উদার নীতি ও মানবিক মূলবোধের কথা উল্লেখ্য করে বলেন,"শেখ হাসিনা ১:৩ মিলিয়ন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন।এর কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন নির্যাতিত,নিপীড়িত শরণার্থী শেখ হাসিনা সে ব্যথা নিজে অনুভব করেন।বিএইচসি, বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এজন্য যে, (রোহিঙ্গা শরণার্থীদের) সাহায্য সঙ্কুচিত হচ্ছে,দেশের অর্থনীতি ও জনসাধারণের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে এবং প্রতি বছর $২ বিলিয়ন সেবা বাবদ খরচ হচ্ছে। বিএইচ সি,নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব,জলবায়ুর ন্যয়বিচার,সমুূ্দ্রের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন,তৈরি পোষাক কারখানা,পরিবহন কাঠামো,টেকসই উন্নয়ন,অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভোক্তা বাজার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। বিএইচসি মহান রাজনৈতিক,অর্থনীতি এবং সম্প্রদায়ের উপর আলোকপাত করেছেন,যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন,ইউকে এবং স্কটল্যান্ড জুড়ে প্রায় ২০০ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কাউন্সিলর সব দলের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে এছাড়া পেশাদারিত্বে শিক্ষক ব্যারিস্টার,সলিসিটর,ডাক্তার তাদের স্ব স্ব স্হানে থেকে অসামান্য অবদান রাখার জন্য সকলকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশী হাইকমিশনার (বিএইচসি) এমএসপি-কে তাদের CPG-তে পুনঃনির্বাচনের জন্য অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সিপিজি সদস্যদের জন্য হাইকমিশন বাংলাদেশে তাদের প্রথম সরকারী সফরে বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করা এবং বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা স্হাপনের জন্য CPG কে ধন্যবাদ জানান। বিএইচসি ক্রস-পার্টির প্রতি কয়েকটি সুপারিশ পেশ করেন। যেমন, ১। বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে সংসদে আলোচনা করা ও ১৯৭১ সাল -কে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি সাধারণ পদ্ধতির আহ্বান। উল্লেখ্য :গণহত্যা, গ্যারি জে এর একটি বই 'দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম। ২। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনার জন্য স্কটিশ পার্লামেন্টের আহ্বান উদ্বাস্হ সংকট। ৩। স্কটল্যান্ড এন্টারপ্রাইজের সাথে একটি EMU স্বাক্ষর উৎসাহিত করণ। ৪। ডিজিটাল উদ্ভাবন: বাংলাদেশের ৬৫% তরুণ জনসংখ্যা, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এন্টারপ্রাইজ অনুসরণ করছে এবংডিজিটাল উদ্ভাবন এবং আশা করে তারা স্কটল্যান্ডের সাথে কাজ করতে পারবে এই সম্প্রসারণশীল খাতে। ৫) স্মার্ট সিটির প্রস্তাব ফয়সল চৌধুরী এমএসপি মাইলস ব্রিগস এমএসপি সারাহ বয়াক এমএসপি, ইভেলিয়ন টুইড,কাজী জিয়াউল হাসান, বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার (ম্যানচেস্টার) স্কটল্যান্ডের বাংলাদেশি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন স্কটল্যান্ড(ELREC),অধ্যাপক মোজাম্মেল হক - অর্থনীতি বিভাগ, স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লাসগো সিপি,বাংলা স্কট ট্রাস্ট স্কটিশ যুব সংসদ অর্থনীতি বিভাগ,স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়,গ্লাসগো চ্যারিটি এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (CEI) জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (লন্ডন)মিলান অ্যাবারডিন সিটি কাউন্সিল,স্কটল্যান্ডে বৃহত্তর সিলেট উন্নয়ন ও কল্যাণ পরিষদ জেএমএন স্কটল্যান্ড লিমিটেড এবং স্কটল্যান্ডের বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যান্য স্বতন্ত্র,ইভান ম্যাকি এমএসপি সহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্কটল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার মহান সম্পর্কের প্রশংসা করে হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। অনুষ্ঠানে ড.ইব্রাহীম রশিদ( পিএইচডি ফিলো স্টিরলিং ইউনিভার্সিটি ইউকে) বাংলাদেশী ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার উপর একটি প্রতিবেদন উপস্হাপন করে যার ফলশ্রুতিতে ইউকে তে শিক্ষা খাতে বাংলাদেশ আরও সম্প্রসারিত হবে সে বিষয় বিশদ আলোচনা করেন।এছাড়া আজরিনা আফরিন স্কটিশ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শেষান্তে স্কটিশ পার্লামেন্ট সদস্য,শ্যাডো কালচারাল মিনিস্টার ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, সৈয়দা মুনা চৌধুরী( বিএইচসি), কাজী জিয়াউল হাসান (বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার ম্যানচেষ্টার)সহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।

দুবাইয়ে ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন
ইউএই প্রতিনিধি: প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদ আয়োজিত ত্রিদেশীয় (সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কাতার) ফুটবল টুর্ণামেন্ট দুবাই গ্যাসেস ফুটবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের সিনিয়র-সহ সভাপতি হাজী মোঃ ওসমান গনি। টুর্ণামেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবাই নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আবদুস সালাম। প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মাসুদ করিম সুমন সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতি দুবাই উপদেষ্টা আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন মদিনা, প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতির সভাপতি মাওলানা ফজলুল কবির চৌধুরী, প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নাসির উদ্দিন বাবর, প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওসমান, উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফয়েজ, মোহাম্মদ জসিম, প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তালুকদার, টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক মোঃ শফিউল আলম, শামসুল হক, সদস্য সচিব এস এম আব্দুল মাবুদ প্রমুখ। খেলায় দুবাইতে চ্যাম্পিয়ন সুপারস্টার ফুটবল একাদশ (৩) রানার্স আপ সেভেন স্টার ফুটবল একাদশ (০) কাতারের চ্যাম্পিয়ন জোন চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডস ক্লাব ফুটবল একাদশ রানার্স আপ স্বপ্নচূড়া ফুটবল একাদশ (০) এবং ওমান লেওয়া জাহিয়া চ্যাম্পিয়ন সানাইয়া নাইন স্টার ক্লাব ফুটবল একাদশ (১) রানার্স আপ লেওয়া সেভেন স্টার ফুটবল একাদশ (০) ওমান আল মুসানা চ্যাম্পিয়ন প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল একাদশ (৪) রানার সাব গুনগুনিয়া বেতাগী ফুটন্ত গোলাপ একতা সংঘ ফুটবল একাদশ (১)।
.jpg)
ইতালির জেনোভাতে উৎসাহ উদ্দীপনায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত
ঈদটি ছুটির দিনে হওয়ায় মুসল্লিদের ঈদের জামাতগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল, প্রতি বছরের মত এ বছরও ইতালির জেনোভা শহরে পিয়েচ্ছা কারিকামেন্তে দাওয়া সেন্টার ও আল বুখারী মসজিদের সমন্বয়ে খোলা মাঠে বিশাল ঈদের জামাতের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ,সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আখতার হোসেন ঢালী, কালাম ফরাজি, ইমরান হোসেন, নুরু হাজী, আবু সায়েম, জহির মান্নান, আলী ব্যাপারি সহ কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ আগামী বছরগুলোতে একসাথে সকলে যেন নামাজ আদায় করতে পারে এই আশাই ব্যক্ত করেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একসাথে পালিত হয়েছেন ঈদ উল আযহার নামাজ, মুসল্লিদের উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে যেন প্রতিটি জামাতই একখণ্ড বাংলাদেশ, গ্রীষ্মের শুরুতেই চমৎকার আবহাওয়া এবারও ইতালির বিভিন্ন স্থানে খোলা মাঠে ঈদের জামাতগুলো নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত মুসল্লিগণ,বাংলাদেশী আফ্রিকান মুরুক্ষি তুনোসিয়া সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল লোক একসাথে জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে সকলে আনন্দিত, নামাজ শেষে কোরবানি দিতে অনেকেই ছুটে যান খামারগুলোতে,প্রবাসে থেকে ত্যাগের মহিমার কুরবানী দিতে পেরে অনেকেরই আনন্দিত,নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।
.jpg)
ইতালির জেনোভাতে উৎসাহ উদ্দীপনায় পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত
ঈদটি ছুটির দিনে হওয়ায় মুসল্লিদের ঈদের জামাতগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল, প্রতি বছরের মত এ বছরও ইতালির জেনোভা শহরে পিয়েচ্ছা কারিকামেন্তে দাওয়া সেন্টার ও আল বুখারী মসজিদের সমন্বয়ে খোলা মাঠে বিশাল ঈদের জামাতের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ,সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আখতার হোসেন ঢালী, কালাম ফরাজি, ইমরান হোসেন, নুরু হাজী, আবু সায়েম, জহির মান্নান, আলী ব্যাপারি সহ কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গ আগামী বছরগুলোতে একসাথে সকলে যেন নামাজ আদায় করতে পারে এই আশাই ব্যক্ত করেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একসাথে পালিত হয়েছেন ঈদ উল আযহার নামাজ, মুসল্লিদের উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে যেন প্রতিটি জামাতই একখণ্ড বাংলাদেশ, গ্রীষ্মের শুরুতেই চমৎকার আবহাওয়া এবারও ইতালির বিভিন্ন স্থানে খোলা মাঠে ঈদের জামাতগুলো নামাজ আদায় করতে পেরে আনন্দিত মুসল্লিগণ,বাংলাদেশী আফ্রিকান মুরুক্ষি তুনোসিয়া সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের সকল লোক একসাথে জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে সকলে আনন্দিত, নামাজ শেষে কোরবানি দিতে অনেকেই ছুটে যান খামারগুলোতে,প্রবাসে থেকে ত্যাগের মহিমার কুরবানী দিতে পেরে অনেকেরই আনন্দিত,নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।

আ.লীগ নেতা রোমানকে ভেনিসে ফুলেল শুভেচ্ছা
সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক সাহেবের কৃতি সন্তান ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য কবিরউজ্জামান রুমান ইতালিতে আগমন করায় বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান নেতৃবৃন্দরা। বুধবার সন্ধ্যায় ভেনিসের মার্কো পলো এয়ারপোর্টে আগমন করলে উনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভেনিস আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ , সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম , বিশিষ্ট ব্যবসায় মানবতার সেবক মোবারক হোসেন , ভৈরব প্রবাসী সিরাজ মিয়া , শহিদুল ইসলাম , নুরুজ্জামান, মনির আহমেদ ও সাংবাদিক সজীব আল হোসাইন। কবিরুজ্জামান রোমান সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তালি প্রবাসী ছিলেন এখন আছেন। রাজনীতির কারণে দেশে অবস্থান করেন। তিনি ভেনিস আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভেনিস আগমনে তিনি দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন এবং মুজিব আদর্শে সব সময় কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট
দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের জন্য ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে প্রবাসী কর্ণফুলী ক্রীড়া পরিষদ। সোমবার (১৭ জুন) আরব আমিরাত, কাতার ও ওমানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জুন) সারজা হুদাইবিয়া রেস্টুরেন্ট হলরুমে ফুটবল টুর্নামেন্টের জার্সি উন্মোচন করা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ করিম সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ ওসমান গনি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-শারজার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ফয়সাল আহমেদ। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুবাই আল আবিরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ নাসের উদ্দিন বাবর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম তালুকদার, মোহাম্মদ ফয়েজ, মোহাম্মদ জসিম প্রমুখ।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক মোঃ শফিউল আলম, সদস্য সচিব এস এম আব্দুল মাবুদ, সদস্য কামাল উদ্দিন, সৈয়দ মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন, মোঃ মুরাদ, ইকবাল করিম, তৌহিদুল ইসলাম, নুরুল আজম, মোঃ ইকবাল,মোঃ সেলিমসহ অনেকে। আয়োজকরা বলছেন,ব্যস্ত জীবনে প্রবাসীদের আনন্দ বিনোদনে তেমন একটা সুযোগ হয়ে উঠে না। তাছাড়া প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মরাও বঞ্চিত হচ্ছে খেলাধুলা সহ নানারকম বিনোদন বাংলা সংস্কৃতি থেকে। প্রবাসী এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের আনন্দ বিনোদনের কথা চিন্তা করে এই ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন।তাছাড়া তিনদেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ মিলনমেলা কিছু সময়ের জন্য মরুর বুকে লাল সুবজের এক টুকরো বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

এডিনবার্গে 'THISTLE SHAPLA' এর উদ্যোগে সংগীতশিল্পী জনিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান
যুক্তরাজ্য থেকে তুহিন মাহামুদ : প্রবাসের মাটিতে বাঙ্গালী সংস্কৃতি চর্চা এবং শিল্প ও সাহিত্যকে বহুমুখী সংস্কৃতির মাঝে পরিচয় করার লক্ষে সমন্বয়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে THISTLE SHAPLA CULTURAL GROUP প্রবাসের মাটিতে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে নিজস্ব সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়া এবং সম্ভবনাময় কবি, সাহিত্যকি, সাংবাদিক, শিল্পীদের উৎসাহ প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় স্বনামধন্য গুণী শিল্পী জনিক আহমেদকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের লক্ষে এডিনবার্গের একটি অভিজাত রেস্তরায় মঙ্গলবার (১১জুন) অনুষ্ঠিত হয় সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক সন্ধার। সৈয়দ আনোয়ারের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফকরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য ফয়সাল চৌধুরী, সংগঠনের চেয়ার পারসন শাহনূর চৌধুরী, বিশেষ অতিথি জাকির খান, ইয়াহিয়া খান, খসরু খান, আহমেদ আলি। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তন্মধ্যে, আলমগীর কবির, সায়েম ,মোয়াজ্জেম হোসেন, তুহিন মাহামুদ প্রমূখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন শাহ এমদাদুল হক বাবু,আবুল কালাম,মোমিনুর রহমান,আমিনুল ইসলাম,রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,জনি খন্দকার,মামুন খান সহ এডিনবার্গে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অনুষ্ঠানকে সূরের মূর্ছনায় প্রাণবন্ত করে তোলেন সংগীত শিল্পী জনি,রবিন হোসেন,সুমন,অভি এবং ইলমান। সংগীত শিল্পী জনির হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি ফয়সাল চৌধুরী (এমবিই এম এসপি) এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সবশেষে নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

ইতালিতে জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ইতালির পাদোভাতে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত হয় এক দোয়া ও আলোচনা সভা ।স্থানীয় একটি হলরুমে জাকির ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে কামাল আকন ও আবুল হোসেন রনির যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি এম আজাহারুল আলম ফিরোজ।এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মোঃ সেলিম, আশিকুর রহমান ইউসুফ, গোলাপ মাহমুদ, রফিকুল ইসলাম ছৈয়াল,মামুনুর রশিদ মিন্টু,মোঃআলী টুটুল, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, জি এস মুন্না, সরদার দেলোয়ার হোসেন, আক্তার মোল্লাসহ আর ও অনেকে।পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ইতালি বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও ভিচেন্সা যুবদলের প্রধান উপদেষ্টা ইমরান আহমেদে সহ সকল নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাত করেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম।