ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে। আমরা এমনটা দেখতে পাচ্ছি। আমরা ভুলতে বসছি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম-খুন, লুটপাটের কথা। বুধবার (২৮মে) নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সমন্বয়ে এই সমাবেশ হচ্ছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তারুণ্যের কথা বলতে এসেছি। তারুণ্যের ভাবনার কথা শুনতে এসেছি। এমন একটা রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে চাই যেখানে তারুণ্য নির্ভর, কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই। যেখানে তরুণরা হবেন মূল চালিকাশক্তি। তিনি বলেন, মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, আইনের শাসন জারি করার জন্য রক্ত দিয়েছে। আজকে আইনের শাসন হুমকির মুখে। আদালতের রায় কার্যকর করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের কথা বলে তিনি বলেন, আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। বাংলাদেশের সামনে নব্য স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্টের আর্বিভাব দেখতে চাই না। আর কোনোদিন যাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ তৈরির প্রজননস্থল না হয়। সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের একমাত্র রাজনৈতিক শত্রু শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ কোনোদিন গণতন্ত্র বোঝেনি। তারা হত্যাযজ্ঞের রাজনীতি করেছে। তিনি বলেন, আমরা যারা এতদিন আন্দোলন করেছি তাদের কেউ কেউ নাকি বিভিন্ন দেশের এজেন্ট। জানি কারা এসব কথা বলছে। যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদী শাসন করতে চায় তারা এসব বলছে। সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা নির্বাচনি রোডম্যাপ চাইছি। কারও পদত্যাগ চাইনি। মানুষ পদত্যাগের নাটক দেখেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছি। আমরা আশা করি আইনের শাসন কায়েম করবে, ইশরাকের শপথের ব্যবস্থা করবে। রোডম্যাপ করবে। আর যদি না করে, যদি নির্বাচনের দাবিতে দেশের মানুষকে আন্দোলন করতে হয় তাহলে সেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক।

তারুণ্যের সমাবেশে নেতাকর্মীদের স্রোত সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় হাতাহাতি

নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশে নেতাকর্মীদের স্রোত সামাল দিতে পারছেন না স্বেচ্ছাসেবকরা। এতে করে দফায় দফায় মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীরা। মূলত বসার জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটি বা আগে-পরে রাস্তা পারাপার নিয়ে একাধিকবার মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে কয়েকটি গ্রুপ। একে অপরকে কিল-ঘুষি দেন। অবশ্য পরে আবার তাদের বিভেদ মিটিয়ে দিচ্ছেন সিনিয়ররা। দুপুর ১টার পর হাজার হাজার মানুষের ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে শৃঙ্খলায় নিয়োজিত সদস্যদের। বিশেষ করে মঞ্চের বিপরীত পাশে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় কয়েকবার মারামারির ঘটনা ঘটে। ভিড়ে চাপা পড়েন নারীরা। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সদস্য নেই। স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন দায়সারাভাবে। যদিও স্বেচ্ছাসেবকদের দাবি এত বড় সমাবেশে এমন পরিস্থিতি হওয়া স্বাভাবিক। উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার (২৮ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিলসহ নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে ১৬ হাজার মামলার তালিকা দিয়েছে বিএনপি

আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে প্রত্যাহারের জন্য প্রায় ১৬ হাজার মামলার একটি তালিকা সরকারকে দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বারশো এবং হেফাজতে ইসলাম ৪৪টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সংকান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি এ পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এবং এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত বছর ২২শে সেপ্টেম্বর আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের যে অভিযোগ করছে তা বস্তুনিষ্ঠ নয় বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। “মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে,” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

ঈদের পর রংপুর অচলের হুমকি জাতীয় পার্টির মোস্তফার

রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার পুনর্বহালের দাবিতে নগর ভবনের মূল ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তার সমর্থকরা। এ সময় সিটি পরিষদ কার্যকর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়ে ঈদের পর লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন মোস্তফা। বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগর ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এসময় প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন সাবেক মেয়র মোস্তফা ও কাউন্সিলরদের সমর্থকরা। নগর ভবনের মূল ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। এসময় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মোস্তফা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে বলব আগামী সাত দিনের মধ্যে সিটি পরিষদকে পূর্বের মতো কার্যকর করবেন বলে প্রত্যাশা করি। আর যদি না করেন তাহলে ঈদের পরে ১২ অথবা ১৩ জুন থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, সবাই প্রস্তুত থাকবেন। দাবি আদায় করতে গেলে আঙুল বাঁকা করতে হবে। মত ভায়োলেন্স আপনারা করতে পারেন, শাহবাগ অবরোধ করতে পারেন, রংপুরের মানুষ করতে পারে না? আপনারা আপনাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে জেনে নেবেন রংপুরের মানুষ কী করতে পারে আর কী করতে পারে না। আগামী দিনে জ্বলে উঠবে রংপুরের সাধারণ মানুষ, আপামর জনতা দলমত নির্বিশেষে সবাইকে রংপুরকে অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসক দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে মোস্তফা বলেন, এই সিটি করপোরেশনে এমন একজন দুর্নীতিবাজ বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছে যে টাকা ছাড়া কিচ্ছু বোঝে না। প্রত্যেকটা ফাইলে এক পারসেন্ট কমিশন গুনে নিয়ে তালিকা দেবে তারপরে সই করবে। এরকম একজন বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়ে রংপুর সিটিবাসীর প্রতি স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান তরু, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসি বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু, নজরুল ইসলাম দেওয়ানীসহ ১৫-১৬ জন কাউন্সিলর।

কারামুক্ত হয়ে জুলাইয়ের ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানালেন আজহারুল

যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়ার একদিন পর জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হয়ে শাহবাগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি গত বছরের ‘জুলাই আন্দোলনের বিপ্লবী ছাত্রনেতাদের’ প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকাও স্মরণ করেন। বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান ৭৩বছর বয়সী আজহার। মুক্তির পর জামায়াত নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং কালো রঙের একটি এসইউভিতে করে তাকে শাহবাগ মোড়ে নিয়ে যান, যেখানে দলটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে আজহার বলেন, “প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজ আমি মুক্ত হয়েছি। আমি এখন স্বাধীন নাগরিক।” তিনি বলেন, “আমি সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই আমাদের মহান আদালতকে, যারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন। এতদিন সে বিচার ছিল না, আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছিল।” আজহার মুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞতা জানান গত বছরের ‘জুলাই অভ্যুত্থানের’ আন্দোলনকারীদের প্রতি। তিনি বলেন, “ছাত্র সমাজই রাজপথে রক্ত ঢেলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পথে ভূমিকা রেখেছে। তাদের জন্যই আজকে আমি মুক্ত হতে পেরেছি।” তিনি ‘দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকেও’ ধন্যবাদ জানান, যারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের স্মরণ করে আজহার বলেন, “তাদের জুডিশিয়াল কিলিং-এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হওয়া উচিত।” তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “জান্নাত পাওয়ার একমাত্র পথ হলো শাহাদাত। যারা শাহাদাতের প্রত্যাশায় এগিয়ে যায়, তাদের থামানো যায় না।”

নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে নেতাকর্মীর ঢল

নয়াপল্টনে বিএনপির ৩ সংগঠন তারুণ্যের সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সমাবেশস্থলর জড়ো হতে দেখা গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নেতাকর্মীদের স্লোগান ও পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন। এদিন সকাল থেকে ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে আসা নেতাকর্মীদের নয়াপল্টনে আসতে দেখা গেছে। ‘তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ স্লোগানে এই কর্মসূচি করছে সংগঠন তিনটি। ওদিকে এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীত পাশের সড়কে এই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের আশেপাশে এলাকায় টানানো হয়েছে মাইক। মাইকে ভেসে আসছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গান। দুপুর ২টায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এদিকে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার, টি শার্ট ও ক্যাপ পরে এবং মাথায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা বেঁধে সমাবেশে আসেছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেছেন। ওদিকে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের পদচারণা ও স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে নয়াপল্টন। নেতাকর্মীদের জমায়েত ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। নয়াপল্টন এলাকা হয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তরুণদের কাছে টানতে মে মাস জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন। চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করছেন তারা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে।

‘বিচারিক হত্যাকাণ্ডের’ বিচার চাইলেন এটিএম আজহার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‘সাজানো মামলায় বিচারিক সকল হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত সকলের বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যে পর্যায়ে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। তা নাহলে খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে, এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বুধবার (২৮ মে) সকালে ১৪ বছর কারাভোগের পর বেরিয়ে এসে শাহবাগ চত্বরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এটিএম আজহার বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ, শহীদ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান-আব্দুল কাদের মোল্লাসহ নিরপরাধ নেতৃবৃন্দকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো সর্বশেষ বিশ্ববরেণ্য মোফাস্সেরে কোরআন আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকেও হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের সবাইকে স্মরণ করছি। সেইসঙ্গে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলের বিচার দাবি করছি। আজহারুল ইসলাম বলেন, এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না, এখন ন্যায় বিচারের মধ্য দিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শুধু জামায়াতে ইসলামী করার কারণেই আমাকে এই মানবতাবিরোধী মামলার মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়। এটিএম আজহার আরও বলেন, আমি প্রায় ১৪ বছর কারাগারে থাকার পর আজ সকালে মুক্তি পেলাম। আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন। এই স্বাধীন দেশে স্বাধীন নাগরিক এখন। মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের জন্য উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তারা (আদালত) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটা অনন্য ভূমিকা পালন করছেন। এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না। আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পাবেন।

নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত, আসছেন নেতাকর্মীরা

বিএনপি’র ৩ সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বুধবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে আসতে দেখা গেছে। 'তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ' স্লোগানে এই কর্মসূচি করছে সংগঠন তিনটি৷ অন্যদিকে সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে আসা নেতাকর্মীদের নয়াপল্টনের আশেপাশে জড়ো হতেও দেখা গেছে। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের আশেপাশের এলাকায় টানানো হয়েছে মাইক। মাইকে ভেসে আসছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গান। বেলা ২টায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার, টি শার্ট পরে এবং মাথায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা বেঁধে সমাবেশে আসছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেছেন। ওদিকে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। তরুণদের কাছে টানতে মে মাস জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি’র এই তিন সংগঠন। চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করছেন তারা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে।

টাকার কাছে বিক্রি হওয়া যাবে না, যোগ্যপ্রার্থীকে ভোট দিতে হবে: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, টাকার কাছে বিক্রি হওয়া যাবে না। যোগ্যপ্রার্থীকে আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে হবে। মঙ্গলবার (২৭ মে) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে পথসভায় এ মন্তব্য করেন হাসনাত। তিনি বলেন, অতীতের নির্বাচনে টাকার খেলা হয়েছে। আপনাদের ভোট টাকা দিয়ে কিনে আপনাদের ঠকিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার। দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন না আপনারা। হাসনাত আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে দুর্নীতি আগে ঘর থেকেই বন্ধ করতে হবে। আগে বাবার আয় নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে ছেলেকে। পরে বহদ্দারহাটের আরেক পথ সভায় হাসনাত বলেন, আমরা বেঁচে থাকতে, আমাদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে এই দেশে আর আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হবে না। এই দেশে হাসিনার পুনর্বাসন হবে না। আওয়ামী রক্ত আছে, এমন কারও পুনর্বাসন হবে না। আওয়ামী সংবিধানকে চিরদিনের মতো এই বাংলাদেশে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব। নতুন সংবিধানের জন্য আমরা লড়াই করব। নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা লড়াই করব। ইনসাফের জন্য লড়াই করব। এ দিকে চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় পথসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় মুশলধারে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। তার মধ্যেই হাসনাত চালিয়ে যান তার বক্তব্য। ঝুম বৃষ্টিতে এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের দ্বিকবিদিক ছোটাছুটি করেন। কিন্তু অটল ছিলেন হাসাত আবদুল্লাহ। সবাইকে নিয়ে গাড়িবহরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে আবার শুরু করলেন পথসভা। ট্রাকের ছাদে কাক ভেজা হয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে স্লোগান দেন তিনি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও যুগ্ম আহবায়ক হাসান আলী। দক্ষিণের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবায়ের আরিফ ও সৈয়দ ইমন। তিনদিনের কর্মসূচির মধ্যে শেষ দিন নগরীর চকবাজার, অক্সিজেন, বিপ্লব উদ্যান নয়াবাজার, হালিশহর, নিউ মার্কেট, বাকলিয়াসহ নগরীর ৯টি স্থানে পথসভা করার কর্মসূচি ছিল। এর আগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তরের নানা পাহাড়ি ও সমুদ্র উপকূলে পথসভা করা হয়।

বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায় : আমিনুল হক

বিএনপি একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর পল্লবীর বাউনিয়া বাধে সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আমিনুল হক বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার গত ১৭ বছর অসাম্প্রদায়িকের নামে সাম্প্রদায়িককে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিল। তখন তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপির নামে চালিয়ে দিতো। গত ১৭ বছর এসবই করছিল আওয়ামী লীগ। বিএনপি একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যারা মুসলমান রয়েছি, আপনারা যারা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। আপনাদের প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা একটি স্বপ্নের মানবিক-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ এবং একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির সভাপতি রাইচরন রবিদাস, সাধারণ সম্পাদক রনীল চন্দ্র দাস, কোষাধ্যক্ষ সুজন রবিদাস, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লাসহ অন্যান্যরা।

৫ আগস্টের পর আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হতে শুরু করেছে : হান্নান মাসউদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, আইনি কাঠামো, পররাষ্ট্রনীতি, বাণিজ্যনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে একটি সুবিধাভোগী গোষ্ঠী নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের মানুষও সেই স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে একটি রেস্টুরেন্টে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করা, কমিটি গঠন এবং দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া বিষয়ে এনসিপি নোয়াখালী জেলার সব উপজেলার সংগঠকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। হান্নান মাসউদ বলেন, প্রত্যেকেই জানেন, প্রত্যেকেই বোঝেন—আমরা এমন একটি লড়াই করছি, যা জুলাই অভ্যুত্থানের চেয়েও কঠিন। আমাদের এই লড়াই জুলাইয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মাত্র। জুলাইয়ে আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, এই বাংলাদেশ নতুনভাবে গঠন করা হবে। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, বাংলাদেশের পচে যাওয়া রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও আইনি কাঠামো ভেঙে নতুনভাবে গড়ে তোলার। তিনি আরও বলেন, আজকের এ প্রোগ্রাম নোয়াখালী অঞ্চলের জন্য, বাংলাদেশের জন্য ইতিহাসের একটি অংশ। এই প্রোগ্রামের মধ্য দিয়েই আগামী বাংলাদেশের এনসিপি যে নেতৃত্বের ধারা প্রতিষ্ঠিত করতে যাচ্ছে, নতুন রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টির যে চেষ্টা করছে, তার সূচনা এখান থেকেই। আজকের শুরুতেই যারা অংশগ্রহণ করছেন, তারা প্রত্যেকেই দুঃসাহসী, প্রত্যেকেই বিপ্লবী। তারা স্রোতের প্রতিকূলে একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে এসেছেন। সবাই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার জন্য এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনুস সরকার এসে সশস্ত্র বাহিনীকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তিকৃত ২১ বিলিয়ন টাকার অস্ত্র কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, এতে একটি গোষ্ঠীর গায়ে জ্বালা শুরু হয়। তারা বোঝাতে চেয়েছে—ভারত থেকে অস্ত্র না কিনলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে নেতাকর্মীরা মৌলিক সংস্কার, সংবিধান পরিবর্তন, প্রশাসনের সংস্কার, নির্বাচন কমিশনের সংস্কার, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সামগ্রিক সংস্কারের বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন। জেলা সংগঠক মুনতাসির মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির নোয়াখালী জোনের তত্ত্বাবধায়ক মুনতাসির মাহমুদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর, যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন ইমরান, নোয়াখালীর সংগঠক ইয়াছিন আরাফাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কাউকে আর খুনি হাসিনা হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না : সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কাউকে আর হাসিনা থেকে খুনি হাসিনা হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ আমরা পূর্বের রাজনৈতিক নোংরা কালচার আমরা চাই না। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এনসিপি আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, আমরা এনসিপি করি বলে বিএনপি, জামায়াত কিংবা অন্যকোনো দলের কেউ আমার প্রতিপক্ষ হয়ে যাবে এই কালচার আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলায় একসঙ্গে কাজ করব। আমাদের মধ্যে হবে ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা। যে ভালো কাজ করবে তাকেই জনগণ তাদের প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করে নিবে। এসময় তিনি কোনো এক মার্কাকে ভোট না দিয়ে যে ভালো কাজ করবে, ভালো মানুষ হবে তাকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। পথসভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, আলী নাসের খান, সদিয়া ফারজানা দিনাসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখা সংগঠক প্রভাষক আব্দুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সংগঠক মেহরাজ শাহরিয়ার মিথুনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রায়হান কবির, আহসান হাবিবসহ স্থানীয় নেতারা।

৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি : চরমোনাই পীর

সলামী আন্দোলন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ঠাকুরগাঁও অপরাজয় একাত্তরে ইসলামী আন্দোলনের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ইসলামী আন্দোলনকে ছোট মনে করলে হবে না। যখন ইসলামের বিরুদ্ধে বা দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়, তখন ইসলামী আন্দোলন রাজপথে আওয়াজ তুললে অপরাধীদের কলিজা কেঁপে ওঠে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এখন অনেক শক্তিশালী। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো যোগ্যতা অর্জন করেছি। দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র তৈরি হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’ চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা সকল ইসলামী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। দেশের জন্য এবং মানবতার কল্যাণের জন্য আমরা সকলে একসঙ্গে মিলে কাজ করার অঙ্গীকার করছি।’ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. হাফিজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ আনিছুর রহমান। এছাড়া জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের কোনো আচরণে বা কাজে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে জামায়াতে ইসলামীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়াত আমির সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। মানুষ আমরা, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না। দল হিসেবে আমরা দাবি করি না যে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী, সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেবেন।” এর আগে জামায়াত আমির বলেন, “বিপদ ঘাড়ে নিয়েও আমরা চেষ্টা করেছি দেশবাসীর বিপদে পাশে থাকার। এমনকি ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেওয়ার পরেও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের শহীদ পরিবার, আহত পঙ্গু ভাই-বোনদের পাশে থাকার। কিন্তু আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, আমাদের পুরো কর্তব্য আদায় করতে পারিনি অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে।” ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “দেশবাসীর সমর্থন ও সহযোগিতায় যদি এই দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাবো, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।” সংবাদ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে ‘পাতানো আদালত ও মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে’ দলটির ১১ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিষয়টি তার লেখা বইয়ে অপরাধ স্বীকার করে তুলে ধরেছেন।” ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের দলের নেতাদের নির্যাতন করতে ‘সেফ হোম’ এবং মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য লোকদেরকে রাখতে ‘সেফ হাউস’ বানানো হয়েছিল। এই সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াকে তিনি ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’ বলে উল্লেখ করেছেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “আজকে আমরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবো না। আজকের সময়টা আমাদের জন্য ভিন্নরকম।”

এভাবেই আজ ফিরে আসতে পারতেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী : সারজিস আলম

জমায়াতনেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পাওয়ায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পর এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত জামায়াতনেতা এটিএম আজহার আজকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হয়তো এভাবেই আজ আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারতেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী!” মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক প্রতিক্রিয়ায় সারজিস আলম একথা বলেন। এনসিপির এই নেতা বলেন, “মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহার আজকে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।” “আওয়ামী দুঃশাসনের শিকার, মিথ্যা মামলায় জীবন হারানো এমন কিছু মানুষকে আজ মনে পড়ছে। হয়তো সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আমাদের মাঝে আজ এভাবেই ফিরে আসতে পারতেন! ফিরে আসতে পারতেন নাম না জানা গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হওয়া হাজারো আমাদের ভাই-বোন।”

আমাদের ‘আচরণে-পারফরমেন্সে’ কষ্ট পেলে ক্ষমা করে দেবেন: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘প্রতিটি কর্মী বা দলের কারণে যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সবার কাছে বিনা শর্তে মাফ চাই। আপনারা আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলেও ক্ষমা করে দেবেন।’ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে জামায়াতে ইসলামীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়ার পর মঙ্গলবার জামায়াত আমির সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর কাছে এ আহ্বান জানান। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। মানুষ আমরা, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না। দল হিসেবে আমরা দাবি করি না যে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী, সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেবেন।’ এর আগে তিনি বলেন, ‘বিপদ ঘাড়ে নিয়েও আমরা চেষ্টা করেছি দেশবাসীর বিপদে পাশে থাকার। এমনকি ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেওয়ার পরেও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের শহীদ পরিবার, আহত পঙ্গু ভাই-বোনদের পাশে থাকার। কিন্তু আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, আমাদের পুরো কর্তব্য আদায় করতে পারিনি অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে।’ জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘দেশবাসীর সমর্থন ও সহযোগিতায় যদি এই দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাবো, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।’ এই সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে ‘পাতানো আদালত ও মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে’ দলটির ১১ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিষয়টি তার লেখা বইয়ে অপরাধ স্বীকার করে তুলে ধরেছেন বলেও উল্লেখ করেন জামায়াত আমির। জামায়াত আমির বলেন, এই বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের দলের নেতাদের নির্যাতন করতে ‘সেফ হোম’ এবং মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য লোকদেরকে রাখতে ‘সেফ হাউস’ বানানো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি জামায়েত আমির। এ নিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবো না। আজকের সময়টা আমাদের জন্য ভিন্নরকম।

আওয়ামী আমলে গুমের আতঙ্কে উদ্বিগ্ন ছিল গণতন্ত্রকামী মানুষ : বিএনপি মহাসচিব

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে একদিকে সমাজ ও রাজনীতিতে মাফিয়াদের উত্থান অন্যদিকে গণতন্ত্রকামী মানুষ জোরপূর্বক গুমের আতঙ্কে দিনরাত উদ্বিগ্ন থেকেছে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব এক বাণীতে এ কথা বলেন। মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে গুমের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রবল প্রতিবাদী হলেও বিগত আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার দেড় দশক ধরে কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের পাইকারী হারে গুম করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলে একদিকে সমাজ ও রাজনীতিতে মাফিয়াদের উত্থান অন্যদিকে গণতন্ত্রকামী মানুষ জোরপূর্বক গুমের আতঙ্কে দিনরাত উদ্বিগ্ন থেকেছে। সবার চোখের সামনে থেকে ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গুম করা হলেও পতিত আওয়ামী লীগ সরকার বরাবরই গুমের বিষয়টি সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে নিলর্জ্জের মতো অস্বীকার করেছে।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষেই সম্ভব সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কারণ নির্বাচিত সরকারকে জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হয়।’ বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে মহাসচিব আরো বলেন, ‘প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে পালিত হচ্ছে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ ব্যক্তি গুম হয়েছেন। আমাদের হিসাবানুযায়ী এই সংখ্যা আরও বেশী। এদের মধ্যে কাউকে মৃত, কাউকে অনেকদিন পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, আবার অনেকের কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি।’ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী গুমের শিকার সকল ব্যক্তি ও পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।

টাকা ছাড়া কাজ হবে না, এই চর্চা থাকবে না: সারজিস

সামনের দিনে টাকা ছাড়া কাজ হবে না, এই চর্চা আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অন্ধ ভক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টির কাউকে ভালো লাগলে ভোট দেবেন, না হলে দেবেন না। কারণ আগের নির্বাচনগুলোতে নেতারা জনগণের পকেটে টাকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বয়স্ক ভাতাসহ সবকিছু মেরে দিয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে এনসিপির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর ছয় উপজেলায় পথসভা এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে জলঢাকা উপজেলার জিরো পয়েন্টে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সারজিস আলম বলেন, আ.লীগ ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। তারা একটা কারণে আসবে সেটা- বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে এটা কোনো কথা না। সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার জন্য সামগ্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে বিচার ও সংস্কার পাশাপাশি চালিয়ে উপযুক্ত সময়েই নির্বাচন হবে। দেশে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদাবাজদের এ দেশে ঠাঁই নেই। কেউ যদি এক টাকা কোথাও চাঁদা নেয়, সেটা একটা পথ। এই পথ খুলে দেওয়া যাবে না। এ সময় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনা, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আবু সাঈদ লিওনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে: তারেক রহমান

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার (২৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। প্রতি বছরের মতো এবছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে এই আন্তর্জাতিক সপ্তাহ। তারেক রহমান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্তÍ বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৬৬৬ জন ব্যক্তি গুম হয়েছেন। আমাদের হিসেবে উল্লিখিত গুমের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশী হবে। এদের মধ্যে অধিকাংশ এখনও নিখোঁজ, অনেকেরই মৃতদেহ পাওয়া গেছে আবার অনেকদিন পর কাউকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এটি বিগত আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমূনা। উল্লিখিত সংখ্যা গুম হয়ে যাওয়া পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট এর ভিত্তিতে, আর অনেক আতঙ্কিত পরিবারই রিপোর্ট করার সাহস পায়নি। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া ব্যক্তিদের ১০/১৫ বছরেও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের গুমের ঘটনাগুলোর সবচেয়ে বেশী শিকার হয়েছেন বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। এছাড়াও গুমের শিকার হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ মানুষও। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম আইন অনুযায়ী-কোন ব্যক্তিকে গুম করা একটি মানবাধিকার বিরোধী অপরাধ। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক সপ্তাহে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই গুম হওয়া মানুষদের অসহায় পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। আর কোন ব্যক্তি যাতে গুমের শিকার না হয় সেজন্য রাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য আমি আহবান জানান জানিয়ে তিনি বলেন, আর যেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের মতো অমানবিক ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। রাজনৈতিক দর্শন বা রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অতিক্রম করে বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী গুমের শিকার সকল ব্যক্তি ও পরিবারকে আমরা সমবেদনা জানান তারেক রহমান।

খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার যেন দায়িত্ব না ছাড়ে: সারজিস

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাজারের ওপর মায়ের বুক খালি করেছে। ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। এই খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার যেন অন্য কারো হাতে দায়িত্ব ছাড়ার চিন্তা না করে। আমরা বাংলাদেশে ওই খুনিদের বিচার দেখতে চাই। সোমবার দুপুরে এনসিপির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় পথসভা এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে ডোমারে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস বলেন, আগামী নির্বাচনে অন্ধ ভক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টির কাউকে ভালো লাগলে ভোট দেবেন, না হলে দেবেন না। কারণ আগের নির্বাচনগুলোতে নেতারা জনগণের পকেটে টাকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বয়স্ক ভাতাসহ সবকিছু মেরে দিয়েছে। সামনের দিনে টাকা ছাড়া কাজ হবে না, এই চর্চা আর থাকবে না। নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে এটা কোনো কথা হতে পারে না। বরং স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার জন্য সামগ্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে বিচার ও সংস্কার পাশাপাশি চালিয়ে যখন নির্বাচন দেওয়ার উপযুক্ত সময় হবে, তখন যেন এটি হয়। এসময় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনা, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আবু সাঈদ লিওনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় জামায়াতের নিন্দা

রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। সোমবার (২৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গতরাত ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার বাড্ডা থানার গুদারাঘাট এলাকায় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধনকে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, যে কোনো হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত নিন্দনীয়। দেশের নাগরিকদের জান-মাল রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করি সরকার জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কামরুল আহসান সাধনের হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিও জানান তিনি।

৫ আগস্ট বাথরুমে পাঁচ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলাম: ওবায়দুল কাদের

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন আতঙ্কে পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল’র এক্সিকিউটিভ এডিটর অমল সরকারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এই প্রথম গণমাধ্যমে কথা বলেন দলটির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে কাদের বলেন, আমি খুবই ভাগ্যবান। সেদিন হয়তো আমার বেঁচে থাকারই কথা ছিল না। আমার নিজের বাসা ছেড়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিই। চারদিক থেকে মিছিল আসছিল। হঠাৎ করে তা সংসদ এলাকা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় লুটপাট। তিনি বলেন, যে বাসায় ছিলাম, সেখানেও হামলা হয়। তারা জানত না আমি সেখানে আছি। আমি স্ত্রীসহ বাথরুমে লুকাই। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বাথরুমে অবস্থান করি। একসময় তারা বাথরুমে ঢুকতে চায়। আমার স্ত্রী বারবার বলেন আমি অসুস্থ। পরে বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দিই। ‘তখন কয়েকজন ছেলে ঢোকে, মুখে মাস্ক, হাতে লাল পতাকার ব্যাজ। প্রথমে তারা উত্তেজিত ছিল, কিন্তু আমাকে দেখে আচমকা আচরণ বদলে যায়। তারা সেলফি তোলে, ছবি তোলে। কেউ কেউ বলেছিল সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে। আবার কেউ জনতার হাতে।’ ওবায়দুল কাদের জানান, পরে তারা তাকে একজন সাধারণ রোগীর মতো পরিচয় দিয়ে একটি ইজি বাইকে করে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়। ওরা বলছিল চাচা-চাচি অসুস্থ, হাসপাতালে নিচ্ছি। ভাগ্য ভালো ছিল বলেই বেঁচে গেছি। ছাত্রলীগকে উত্থান দমন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি কখনও বলিনি ছাত্রলীগ এই অভ্যুত্থান দমন করুক। ইউটিউবে কেউ একজন বলেছে, সেটা সত্য নয়। তিনি বলেন, আমি তখন পার্টির সেক্রেটারি ছিলাম। দায়িত্ব পালন করেছি। পার্টি অফিস, মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন পুড়ছিল। আমি কি নিজেকে নিরাপদ রাখব না? আমার নেত্রীকে নিরাপদ রাখতে হবে না? কেউ থাকলেও সেটাই করত। তৎকালীন পরিস্থিতিতে জনরোষের কারণ কী ছিল—জানতে চাইলে কাদের বলেন, এটা আকস্মিক ঘটনা। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু, এক দফায় শেষ। ষড়যন্ত্রও ছিল। ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থ হয়েছে। একটি বড় রাজনৈতিক দলে দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও জনগণের ক্ষোভ আগে বোঝা যায়নি কেন? জবাবে তিনি বলেন, মানুষ ভুল করে। আমিও ভুল করেছি হতে পারে। তবে আমি চাঁদাবাজি করিনি, কমিশন খাইনি। আমার মন্ত্রণালয় সবার সামনে। আমি কোনো পদ বিক্রি করিনি। দলীয় শাসনামলে নির্বাচন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমালোচনা হবে। তবে আমাদের উন্নয়ন কারও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমরা এই দেশকে বদলে দিয়েছি। সময় হলে মূল্যায়নও হবে। অনেকদিন নীরব ছিলেন কেন—এই প্রশ্নে কাদের বলেন, অনেকে বলে আমাকে চুপ থাকতে বলা হয়েছিল। এটা ঠিক নয়। আমি অসুস্থ ছিলাম। সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) নিজেই আমাকে খুঁজেছেন, আমার খোঁজ নিয়েছেন। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, আছে। তিনবার সাধারণ সম্পাদক হওয়াটা অনেকের পছন্দ না হওয়াও স্বাভাবিক। ‘এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও তাই ঘটে,’ বলেন কাদের। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের সেই দিনটা আমার জীবনে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। তবে আমি ভাগ্যবান ছিলাম—বেঁচে ফিরতে পেরেছি। এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।

সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে: পীর চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন থাকবে। তিনি বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের চরিত্র বুঝতে হবে। এটা কেবলই নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গঠিত কোন অন্তর্বর্তী সরকার না। বরং অজস্র মানুষের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার এবং ফ্যাসিবাদ উৎখাতের পর মুক্তিকামী জনতার সরকার। নির্বাচন আয়োজন করা এই সরকারের দায়িত্ব, তবে তারও আগে প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা এই সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই মৌলিক কাজ সম্পন্ন করতে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।’ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার প্রধানকে দলের পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো-প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেয়া সময়সীমার ওপরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আস্থা রাখে; ফ্যাসিবাদী শক্তি যারা ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, দ্রুততার সাথে তাদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে; স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে হবে; বিতর্ক তৈরি করে এবং স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা ও আলাপ আলোচনা করে নিলে অহেতুক ভুল বোঝাবুঝি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে চান না: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনোভাবেই তার ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী নন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময় অতিরিক্ত বাড়ানোর পরিকল্পনাও করছেন না। এছাড়া, আগামী এপ্রিলের পর নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন মান্না। রোববার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ধারণা ছিল, তার এখন পর্যন্ত যেসব কাজ হয়েছে, তা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে যদি সবাই তার সঙ্গে একমত না হয়। আমরা তাকে বুঝিয়েছি যে তাকে আরও বেশি করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে, মতবিনিময় করতে হবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সবাইকে জ্ঞাত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোন কোন জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তবে সময় যেন বেশি নষ্ট না হয়, কারণ সময় বাড়লে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, এপ্রিলের পর আর সময় বাড়ানো হবে না। সংস্কার বিষয়ক আলোচনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মান্না জানান, আমরা সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত কথা বলিনি, আমরা শুধু চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হোক।